লাঞ্চের আগে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন নাঈম
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে ফেরানো যেত। কিন্তু বাংলাদেশ ক্যাচের আবেদন না করায় দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা কর্তৃত্ব করেছে ম্যাথুজ-চান্ডিমাল জুটি। লাঞ্চ ব্রেকের কিছুক্ষণ আগে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়েছেন নাঈম হাসান। দ্রুত সময়ে দিনেশ চান্ডিমাল-নিরোশান দিকবেলাকে সাজঘরে পাঠালে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের পথটা কঠিন হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ১১৬ ওভারে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৭ রান।
উইকেট পড়েছে নাঈমের ১১৪তম ওভারে। প্রথম বলে চান্ডিমাল রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বলের লাইন বুঝতে না পারেননি। পরাস্ত হওয়ায় স্বাগতিকদের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান ব্যাটার। তাতেও ইতিবাচক কিছু মেলেনি। চান্ডিমালের বিদায়ে ভেঙে যায় ১৩৬ রানের মহামূল্যবান পঞ্চম উইকেট জুটি।
১৪৮ বল খেলা চান্ডিমাল করতে পারেন ৬৬ রান। তাতে ছিল ৩টি ছয় ও ২টি চার। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে দিকবেলা নামলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। একই ওভারে তিন বল পর শিকার হন নাঈমের। তার ঘূর্ণিতে পুরোপুরি পরাস্ত হন দিকবেলা। সরে গিয়ে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৩ রানে।
অবশ্য শ্রীলঙ্কার সার্বিক অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারতো। আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলতে নামেন সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও দিনেশ চান্ডিমাল। খালেদ আহমেদের ৯৩.৫ ওভারে বিপজ্জনক ম্যাথুজ আউট হয়েছিলেন। অথচ বাংলাদেশের কেউ আবেদন-ই করেনি! আলট্রা এজে দেখা গেছে, বল ম্যাথুজের ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে ঠিকই। কিন্তু কিছুই টের পায়নি স্বাগতিক দল। টিভিতেও হালকা শোনা গেছে তার শব্দ। আবেদন করলে ১১৯ রানে ফেরানো যেত লঙ্কান ব্যাটারকে।
চট্টগ্রামে বল হাতে বাংলাদেশের প্রথম দিনটা খারাপ না গেলেও সফরকারীদের কিছুটা এগিয়ে রাখতে বড় অবদান ছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনও এই লঙ্কান অলরাউন্ডার একই মনোবল নিয়ে খেলছেন। প্রথম সেশনের পুরোটা সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন দিনেশ চান্ডিমাল। নিখুঁত ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত লাঞ্চের আগে ভুল শট নির্বাচনের খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। চান্ডিমালের বিদায়ে জুটি ভাঙলেও ম্যাথুজ ১৪৭ রানে অপরাজিত আছেন এখনও। তার সঙ্গে আছেন রামেশ মেন্ডিস (১)।