মার্কিন ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয়া অভিযানের নাম ‘শহীদ সোলাইমানি’
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদের’ ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকের আল-আসাদ মার্কিন ঘাঁটির পাশাপাশি ইরবিল মার্কিন ঘাটিতেঁও আঘাত হানে ইরানের মিজাইল। খবর আল-মায়াদিন টিভি ও বিবিসির।
আইআরজিসি বুধবার ভোররাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির উপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতে আইন আল-আসাদ ঘাঁটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে ‘বিজয়’ অর্জিত হয়েছে বলে আইআরজিসির বিবৃতিতে দাবি করে ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
আইআরজিসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’র ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটিতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, তাদের ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল শহরের মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।
ইরবিল বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে আমেরিকার যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের’ হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।
জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার অপরাধে ইহুদিবাদী ইসরাইলকেও ইরান আমেরিকার মতো সমান অপরাধী বলে গণ্য করে।
সোমবার সকালে রাজধানী তেহরানে জেনারেল সোলাইমানিসহ নিহত আরও পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নামাজে জানাযায় অংশ নেন প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাক সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সফরকারী ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিস এবং দু’দেশের আরো ৮ সেনা শাহাদাতবরণ করেন।