বেলা অনেক গড়িয়েছে, জল অনেক গড়িয়েছে, এবার ফাইনাল খেলার সময়: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্রকামী শক্তিকে ধ্বংস করতে পারে নাই। বেলা অনেক গড়িয়েছে, জল অনেক গড়িয়েছে, এবার ফাইনাল খেলার সময় হয়েছে।’
গণ অধিকার পরিষদের বিজয় দিবসের র্যালিতে হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজয় দিবসে র্যালিতে নেতাকর্মীদের ওপর শরীয়তপুর, জামালপুর, রাঙামাটির লংগদু, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
নুর বলেন, ‘যেখানে ভিন্নমতের কোনো দলের সভা সমাবেশ হয় সেখানেই ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা চালায়। পাকিস্তানি শাসকদের বর্বরতাকেও এরা ছাড়িয়ে গেছে। সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচার আজ নয় বছরেও হয় নাই।’
তিনি বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে, ভিন্নমত এবং বিরোধীদলকে গুম, খুন করে আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে তাদের ওপর থুতু দেই আমরা সবাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ঢিপি আরও বলেন, ‘কে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটা আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে, ভোটাধিকার ফেরাতে যে-ই যে ব্যানারে ডাক দিক, নিজ অবস্থান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাদের কথা বলতে দিতো না, আন্দোলন করতে দিতো না। ঠিক আওয়ামী লীগ এখন পাকিস্তানকে ফলো করা শুরু করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদের অবদান, নিউক্লিয়াসের অবদান, সিরাজুল আলম দাদা ভাই, আ স ম রব ভাইদের অবদান স্মরণ করা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সুবর্ণজয়ন্তী পালনকে পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, সোহরাব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।