স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে কিছুই পাইনি বরঞ্চ হারিয়েছি!

0

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে কিছুই পাইনি বরঞ্চ হারিয়েছি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হচ্ছে, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছিলো সেটাও তারা বাতিল করে দিয়েছে।’

বৃহস্পতি্বার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  এখানে এখন নির্বাচন ব্যবস্থা নেই, যে নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে পারে না। এখানে দারিদ্র আরও বেড়েছে, মানুষ গরীব থেকে গরীব হয়েছে। একটা শ্রেনীর মানুষ যারা আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট তারা ধনী হয়েছে।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের বড় লজ্জার হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানে (র‌্যাব) বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি যে, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় লজ্জা। এই পঞ্চাশ বছর পরে আমাদের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা পেতে হচ্ছে এবং আমরা গণতন্ত্রের বাইরের একটি রাষ্ট্র সেটাকে আজকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যেটা আমাদের জন্য লজ্জা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের কারণেই এই অবস্থা বাংলাদেশের আজকে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে ৫০ বছর পরেও আমরা যে একটা স্বাধীন ও মুক্ত বাংলাদেশের যুদ্ধ করেছিলাম, লড়াই করেছিলাম, সেই স্বাধীন ও মুক্ত বাংলাদেশ আমরা এখন দেখছি না। আমরা দেখছি যে, একটা কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসীবাদী সরকার তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে এখানে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য কাজ করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা এখানে শপথ নিয়েছে যে, এদেশে সমস্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে, সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং একটা মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।

সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শেরে বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুম্পমাল্য অর্পন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।

সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়া্উর রহমানের কবরে পুম্পমাল্য অর্পন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব।

এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মীর সরফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, নাজিম উদ্দিন আলম, ইশরাক হোসেন, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, অঙ্গসংগঠনের মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, এসএম জাহাঙ্গীর, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, জেবা খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ড্যাবের ডা. আবদুস সালাম,ফজলুর রহমান খোকন,ইকবাল হোসেন শ্যামল,সাইফ মাহমুদ জুয়েল সহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com