‘দেশে মানবাধিকার থাকলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আটকে রাখা হত না’

0

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবািদক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বু্দ্ধিজীবী হত্যার সঠিক তদন্ত দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। এসময় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করেন।

এ সময় ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবী ভীতির আবর্তে চলছে বাংলাদেশ। এখনও দেশের বুদ্ধিজীবীরা নিরাপদ নন।  প্রতিনিয়ত সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের রোষানলে পড়ে স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করতে পারছেন না। সাংবাদিকরা আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এখনো রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে কখনো কালো আইন করে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।

বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আসলেই আমরা এ দিবসটি পালন করি এবং ইতিহাস শুনি। কিন্তু বাস্তবিকভাবে আমরা এর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা এই বু্দ্ধিজীবী হত্যার সঠিক তদন্ত চাই।

তিনি বলেন, এদেশে যদি মানবাধিকার থাকতো তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আটকে রাখা হত না। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকরা আন্দোলন করেছি। আমরা কি তাদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাচ্ছি? আজকে আইনের দোহাই দিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশ চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছে না। আমি বলবো আইনের জন্য মানুষ না, মানুষের জন্য আইন। তাই আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে। আর সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে পারবো।

বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বু্দ্ধিজীবীদের কেনো হত্যা করা হয়েছিল? কারন তারা একটি স্বাধীন সার্বোভৌমত্ব রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। তাই কতৃত্ববাদী গোষ্টি তাদেরকে হত্যা করেছে। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তাই তাদের হত্যা করা হয়েছে। যা এখনো অব্যহত। এসময় তিনি সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, মাহমুদুর রহমান, রুহুল আমিন গাজীসহ বর্তমান বু্দ্ধিজীবীদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন এবং নিন্দা জানান।

বাংলােদশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সাধারন সম্পাদক বাকের হোসেন, বিএফইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহিন হাসনাত, সহ সভাপতি বাসিত জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর, দফতর সম্পাদক ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com