খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশবাসীর দোয়া চান শর্মিলা রহমান

0

রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন না, তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এ কথা জানান।

তিনি এদিন দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থান করেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আম্মা কথা বলতে পারছেন না। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’

এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশবাসীর দোয়া চান শর্মিলা রহমান। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য বোর্ডের প্রধান সাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও ডা. এ বিএম জাহিদ হাসপাতালে আসেন। গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পাশে থাকতে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন সিঁথি।

এদিকে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত সোমবার রাতে চেয়ারপারসনের আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তবে চিকিৎসকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তা বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। গত সোমবার রাতে ১২টায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে টেলিফোন করে বললেন, আপনি এখনই চলে আসুন হাসপাতালে। আমি রাতেই হাসপাতালে গেলাম। গিয়ে দেখি আমাদের যে সমস্ত চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন, তারা বসে ছিলেন। তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-চিন্তিত ছিলেন। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম যে কোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেটাই হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আগে তিনবার যেভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছিল, একইভাবে সোমবার রাতেও রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গেছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, অসুখের সঙ্গেও পাঞ্জা লড়ছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আবার ডা. জাহিদকে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি আমাকে জানালেন, ম্যাডাম এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডাক্তাররা বলছেন এই ভালো, ভালো নয়। কারণ তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তার যে অসুখ সেই অসুখের চিকিৎসা এখনে আর এখানে নেই। এই চিকিৎসা করতে হলে তাকে অবশ্যই বিদেশে পাঠাতে হবে, যেখানে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।’

গত ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত সেন্টারে নেয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তবে সেই আবেদনের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com