সরকার হটানোর আন্দোলনে ‘রাস্তায় নামা’র প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান মোশাররফের

0
সরকার হটানোর আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের ‘রাস্তায় নামা’র প্রস্তুতি নিতে বললেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, কোনো আন্দোলনে জনগণ প্রথম নামে না। নেতৃত্বকে নামতে হয়। সকল আন্দোলনে অতীতের প্রমাণ হচ্ছে যে, ছাত্র-যুব-শ্রমিক তারা ভ্যানগার্ড হিসেবে সামনে থাকে, তারপরে রাজনৈতিক দলগুলো থাকে, তারপরে জনগণ নামে। সেই দিন কোনো স্বৈরাচার কোনো ফ্যাসিস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় তারা টিকতে পারেনি। পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খান টিকে নাই, বাংলাদেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও টিকে নাই। শ্লোগানের চেয়ে রাস্তায় নামার জন্য আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। সরকার তাদের নিজেদের ভারে নিজেরা ন্যুব্জ। অতএব সময় সামনে বেশি দূরে নয় যখন জনগণকে নিয়ে একটি ধাক্কা দেয়ার প্রয়োজন। সেই ধাক্কা দেয়ার জন্য, রাস্তায় নামার জন্য আমি আপনাদের সকলকে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহবান জানান। সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ’৯০-এর ডাকুস ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেন ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কাছে স্বৈরাচার বিরোধী মিছিল চলাকালে জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশ গুলিতে নিহত হয় নুর হোসেন।
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণতন্ত্রের বিজয়ের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে যারা হটিয়েছে তারা এই টেবিলের বীরেরা। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, আমাদের কৌশল আছে-সবই ঠিক আছে। আমাদের সকলকে সেই ঐক্য সেই কমিটমেন্ট নিতে হবে। অবশ্যই আমরা রাস্তা একদিন না একদিনে এদেশের জনগন নামবে। সেই দিন বেশি আমার মনে হয় দূরে নয়।
তিনি বলেন, আজকে অনেকে বলেন, আমরা দাবি করব যে, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে। এটা শেখ হাসিনা কখনো দেবে, এটা কেউ বিশ্বাসও করে না। অতত্রব এই সরকারকে হটানোর জন্য আমাদের কাছে আন্দোলনের বিকল্প আর কিছু নাই। এটা সকলেই বলেছেন, আমরা সকলে বলেছি। তাহলে আন্দোলনটা কী অবস্থায় আছে? সরকার তো ফ্যাসিবাদী কায়দায় এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করবে। আমাদেরও ঠিক একইভাবে সাহস, ধৈর্য এবং কমিটমেন্ট নিয়ে আমরা যে যে অবস্থানে আছি, সেই অবস্থানে থেকে আগামী দিনে আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা বিএনপির বিষয় নয়, জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আমাদের এক হতে হবে এবং জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, এই সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। এই সরকার ফ্যাসিজম চালু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যে পরিমাণ জনগণকে নিপীড়ন-নির্যাতন, লুটতরাজ-চাঁদাবাজি করছে তাতে মানুষ অতিষ্ঠ, দ্রব্যমূল্যে মানুষ অতিষ্ঠ। আইনের শাসন নেই, দেশে বিচার ব্যবস্থা নাই। একটাই সমাধান এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করা। আর তা করতে পারলেই এই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com