আফগানিস্তানে তালেবানকে যে শর্তে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র

0

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং সন্ত্রাসকে আফগানিস্তানে আশ্রয় না দেয়ার শর্তে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানের কাছে কাবুলের পতনের পর রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান তিনি।

বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলে, ‘ভবিষ্যত যেই আফগান সরকার তার জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে এবং যে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না, আমরা তাদের স্বীকৃতি দেবো এবং তাদের সাথে কাজ করবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে সরকার তার নারী ও মেয়েদেরসহ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে না, যুক্তরাষ্ট্র অথবা তার মিত্র ও অংশীদারদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠনকে যারা প্রশ্রয় দেবে, নিশ্চিতভাবে তাদের জন্য তা (স্বীকৃতি) দেয়া হবে না।’

দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।

এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।

৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।

সূত্র : ডন

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com