চাঁদা না পেয়ে বস্তাবন্দি করে যুবককে তুলে নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

0

কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঁদা না পেয়ে রাসেল (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে বস্তাবন্দি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। সিএনজিযোগে বস্তাবন্দি করে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি রাসেলের বাবা খোরশেদ আলম কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য মুরাদনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে মামলার পাঁচদিন পরও রাসেলের হদিস মেলেনি। এ ঘটনায় তার পরিবার উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।

তবে ভিন্ন কথা বলছে পুলিশ। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমানের দাবি- রাসেলকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অপহরণকারীরা। পরে হাসপাতাল থেকে রাসেল উধাও হয়েছে। তার খোঁজ পাওয়া গেলেই রহস্য বেরিয়ে আসবে।

অপহৃত রাসেল মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। রাসেলের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, ‘ভিডিও দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি- যারা চাঁদা চেয়েছিল, তারাই আমার ছেলেকে বস্তায় ভরে তুলে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করেছি। তবে পুলিশ এখনও আমার ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি।’

খোরশেদ আলম আরও বলেন, ‘একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি।’

আদালতে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, রাসেল ও তার বাবা খোরশেদ আলম কৃষ্ণপুর বাজারের ফার্নিচার ব্যবসা করেন। কিছুদিন আগে পরমতলা গ্রামের সফিকুল ইাসলামের ছেলে রাসেল মুন্সী, আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইফুল ইসলাম, আব্দুস ছামাদের ছেলে আরাফাত বাবু তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা রাসেল ও তার বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এর জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে রাসেলকে ডেকে নেয় তারা। পরে তাকে বেধড়ক মারধর করে বস্তাবন্দি করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। দূর থেকে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন এলাকার এক ব্যক্তি। ওই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে ঘটনার ৬ দিন পার হলেও রাসেলকে পাওয়া যায়নি।

মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘একটি মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। সেখানে রাসেলকে মারধর করে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে রাসেলকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাসেল পালিয়ে যায়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়েছে।’

এদিকে অভিযোগ বিষয়ে জানতে অপহরণ মামলার আসামি রাসেল মুন্সী, সাইফুল ইসলাম ও আরাফাত বাবুর মোবাইলে কল করা হলে সকলের নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com