১০টা বাজতেই ভোটারশূন্য কেন্দ্র
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর ২ ঘণ্টা পার হতেই ভোটারশূন্য হয়ে পড়েছে কেন্দ্রগুলো। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের বাইরে অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভেতরেও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল থেকে নগরের চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার সিডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকলিয় পিটআই কেন্দ্র, এমইএস স্কুল, ঘাট ফরহাদবেগ, হামজারবাগ সরকারী প্রাথমিক স্কুল, কদম মোবারক উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৫টি কেন্দ্রে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
কেন্দ্রে শিশুরাও আছে, শুধু নেই ভোটার
প্রতিটি কেন্দ্রের পাহারায় পুলিশ আছে। ভোট নেয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তারা আছেন। আছে ভোট নেয়ার যন্ত্র ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। কিন্তু ভোটারের ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে যেন! অনেকক্ষণ পর দু-একজন করে ভোটার আসছেন।
কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮০ জন। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট গৃহীত হয়েছে ৭৮টি। আরও দুটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ১০ পর্যন্ত ভোট গৃহীত হয়েছে ১৮টি ও ১৯টি।
এদিকে বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ ও কাজেম আলী কলেজ কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও ছিল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কিশোদের ভিড়। বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা বুকে ব্যাজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। অনেকে দল বেঁধে আসছেন। নৌকার সমর্থক-কর্মীদের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে আ.লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভিড়
চসিক নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সব এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে সকালে। আমি সকাল ৬টা থেকে মনিটরিং করছিলাম। ওভারঅল দেখলাম, বেশিরভাগ এজেন্টকে তারা মেরে বের করে দিয়েছে। এজেন্টদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা বললো, হ্যাঁ কার্ড-টার্ড ছিড়ে বের করে দিয়েছে।’
বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্ট আসেননি।’
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে চলছে ফটোসেশন
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এর মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ১৬৯ জন। বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ৫৭ জন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ। এসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৭৭৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।