নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোটায়: বদিউল আলম মজুমদার
পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন আয়োজনে অতিরিক্ত ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া প্রশিক্ষণ খাতেও অতিরিক্ত ৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা চেয়েছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয় এসব টাকা অপচয় করার চেয়ে এই নির্বাচন কমিশনকে অবসরে পাঠিয়ে যারা নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় তাদেরকে যদি ঘোষণা করে বা লটারি করে নির্বাচিত করে দেয়, কিংবা সরকারি দলের যারা মনোনয়ন দেয় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করলে এতগুলো টাকা সাশ্রয় হবে আমাদের।
তিনি বলেন, যে ইভিএমের কথা এসেছে, এই ইভিএম হলো সর্বোচ্চ নিকৃষ্টতম ইভিএম। এই ইভিএম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করে না, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হলো, এখানে একটা পেপার ট্রেইল থাকতে হবে এবং ব্যালট পেপার থাকতে হবে। ইভিএম না রাখায় আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞ জামিলুর রেজা চৌধুরী আমাদের চিঠিতে স্বাক্ষরই করেননি। ইভিএম ভয়ানক যন্ত্র, কমিশন চাইলে যা খুশি করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোটায়। তাই কোনোভাবেই এজন্য আর অর্থ দেয়া সঠিক হবে না।’