মধ্যরাতে নির্বাচনী সংঘর্ষে গোলাগুলি, নিহতের ঘটনায় প্রার্থীসহ আটক ২৬
চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুরপাড় এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসময় দু’পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষের পর রাতেই নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক ব্রেকিংনিউজকে জানান, পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে রাতের দিকে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হলে একজন মারা যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংঘর্ষে নিহতের নাম আজগর আলী বাবুল (৫৫), আর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাহবুব নামে এক যুবক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে আরও অন্তত ৭-৮ জন আহত হন। তবে গুলিবিদ্ধ দুজনই নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরের বাড়ি ঘেরাও করে কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানিয়েছেন, আটককৃতদের থানায় নিয়ে সেখান থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল বিকেলে পাঠানটুলি এলাকা থেকে লোহার তৈরি বিপুল পরিমাণ ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট জব্দ করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।