দায় পুরোটাই চীনা প্রশাসনের উপর চাপিয়েছে ভারত

0

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারত-চীন সীমান্তে এমন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা প্রথাগত নয়- এমনটাই দাবি করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দাবি করা হয়, এর ফলেই সীমান্ত সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে। ভারত বাধ্য হয় সীমান্তে ট্যাঙ্ক, বন্দুকধারী সেনা মোতায়েন করতে।

২০২০ সালে চীনের সাথে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পর্যালোচনায় প্রকাশ পেয়েছে নতুন এই তথ্য।

মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে স্থিতাবস্থা জোর করে বদল করেছে চীন। তাদের উস্কানিমূলক আচরণ পরিস্থিতিকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত গোলমাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েও পূর্ব লাদাখের শান্তি রক্ষায় কঠোর হয়েছে।

চীনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ভারত জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা দুই দেশের মধ্যে সমস্ত নীতি ও চুক্তি মেনে চলেছে। কিন্তু চীনের সেনাবাহিনী পরিস্থিকে জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে অস্ত্র ব্যবহার করে ও বিপুল সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০ জন ভারতীয় জওয়ান সেই সময়ে চীনের অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে ভারত-চীন সীমান্তে প্রাণ হারিয়েছেন। চীনেরও ক্ষতি হয়েছে।’

তবে এই ঘটনার দায় পুরোটাই চীনা প্রশাসনের উপর চাপিয়েছে ভারত।

বছর শেষের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কী ভাবে বছর শেষে চীন-ভারত সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আগস্ট মাসের শেষের দিকে। চীনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে কী ভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছে একাধিকবার, সেটিও রিপোর্টে বলা হয়েছে।

তবে পাশাপাশি রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে, শীতকালে যাতে সীমান্তে সমস্যা না হয়, শীতের সঞ্চয় সেই কারণে আগে থেকেই করা হয়েছে ভারত-চীন সীমান্তে। সীমান্তে চীনের সেনাবাহিনী আবার কোনো সমস্যা করলে যাতে ভারত মোকাবিলা করতে পারে, সে বিষয়টিও নজরে রেখেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনা তৈরি, তবে দু-দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com