‘মমত্ববোধ’ সৃষ্টির প্রয়াসে মেঘান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারির আর্চওয়েল ওয়েবসাইট লঞ্চ

0

একটি ভাল বিশ্ব তৈরির মানসে ‘মমত্ববোধ’ সৃষ্টির প্রয়াসে মেঘান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারি আর্চওয়েল ওয়েবসাইট (archewell.com) লঞ্চ করেছেন। বছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ‘কমপায়েন্স ইন অ্যাকশন’ শীর্ষক হোমপেজ আপডেট করা হয়েছে। এতে তারা প্রিন্স ডায়ানার মমত্ববোধ সম্পন্ন কিছু ছবি ব্যবহার করেছেন।   

প্রিন্স হ্যারি ওয়েব সাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে তার শৈশবকালীন দুর্লভ ও মর্মস্পর্শী ছবি বন্ধু ও ভক্তদের জন্য ব্যবহার করেছেন। এতে মেঘানের ছোট্ট বেলার একটি ছবিও রয়েছে। নান্দনিক এই ছবিতে মেঘান তার মা ডরিয়া রাগল্যান্ডকে মিষ্টিভাবে অবলোকন করছেন। অন্য একটি ছবিতে হ্যারি তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার কাঁধে বসে আছেন। নতুন ওয়েবসাইট চালু করতে প্রথমবারের মতো তারা নিজেদের শিশু আর্চি‘র ছবিও শেয়ার করেছেন।

এই রাজকীয় জুটি বলেছেন, আর্চওয়েল নামটি প্রাচীন শব্দ আর্চ বা কর্মের উৎস থেকে এসেছে। তবে তাদের ১১ মাস বয়সী ছেলে আর্চি‘র নামও অনুপ্রাণিত করেছে।আর্চওয়েল অলাভজনক কাজের পাশাপাশি সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা পালন করবে।

আর্চওয়েল অডিও সম্পর্কিত তথ্যের মধ্যে বর্তমান এবং সমসাময়িক ঘটনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, জাতিগত ন্যায়বিচার, লিঙ্গ, পরিবেশ, যুব ক্ষমতায়ন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং বর্তমান ও সাধারণ আগ্রহের বিষয়ে ডাউনলোড উপযেগিী পডকাস্ট, অডিও প্রোগ্রাম এবং অডিও বই ইত্যাদি থাকবে।  

প্রথম পৃষ্ঠায় কাব্যিক বর্ণনায় যৌথ বিবৃতিতে এই দম্পতি বলেছেন, আমি আমার মায়ের ছেলে এবং আমি আমাদের ছেলের মা। একসাথে আমরা আর্চওয়েল এনেছি। আমরা মানবতার সেরাতে বিশ্বাসী,  কারণ আমরা মানবতার সেরাটি দেখেছি।  

আমরা আমাদের মায়েদের এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সমবেদনা ও দয়া অনুভব করেছি। ভয়, সংগ্রাম এবং বেদনার মুখে এই বিষয়টি হারিয়ে যাওয়া সহজ। একসাথে আমরা সাহস, নিরাময় এবং সংযোগ সাধন করতে পারি। একসাথে আমরা মমত্ববোধ জাগ্রত করতে পারি।

আমরা আপনাকে আমাদের সাথে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা আরও ভাল বিশ্ব গড়ার জন্য যেমন কাজ করি,  তেমনি সকলের মাঝে মমত্ববোধ সৃষ্টির জন্য কাজ করি।

নিশ্চিত করুন যে, আপনি কখনই কোনও রাজ্যের গল্প মিস করবেন না! আমাদের সেলিব্রিটি, রাজকীয় এবং লাইফস্টাইলের সমস্ত সংবাদ সরাসরি আপনার ইনবক্সে সরবরাহ করতে আমাদের নিউজ লেটারে সাইন আপ করুন।

‘২০২১ এর জন্য একটি চিঠি‘ শীরোনামে অভিহিত বক্তব্যের পাশাপাশি এই দম্পতি তাদের ভিত্তি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও গবেষণা কেন্দ্রিক গোষ্ঠী গুলির মধ্যে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে সেন্টার ফর হিউম্যান টেকনোলজি, ইউসিএলএ, সেন্টার ফর ক্রিটিকাল ইন্টারনেট ইনকুয়েরি এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর জেমস ডোটি, যার কাজ করোণার বিজ্ঞানে মনোনিবেশ করে।

গত মাসের শুরুর দিকে স্পটিফায় তাদের নতুন পডকাস্ট চালু করার পরে মেঘান এবং হ্যারির অধীর আগ্রহে প্রত্যাশিত ওয়েবসাইটটি চালু হয়েছে। দম্পতির তৈরি আর্চওয়েল অডিওর সাথে বহু বছরের অংশীদারিত্বে এমন একটি প্রোগ্রামিং তৈরি হবে যা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের উত্সাহ ও বিনোদন দেয়। অডিওটির বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভয়েসগুলি হাইলাইট করে স্পটিফায় তা বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেবে।

সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস দ্বারা নির্মিত আর্চওয়েল ফাউন্ডেশন একটি প্রভাব বিস্তারকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই  ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় এবং বিশ্বব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে মমত্ববোধ বাড়াতে সহায়তা করা। উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস মমত্ববোধ একবিংশ শতাব্দীর মুখ্য সাংস্কৃতিক শক্তি। কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠনের অংশিদারিত্বের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান সম্প্রদায়কে সমর্থন করা যা পদ্ধতিগত সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে সহায়ক হবে।  

আর্চওয়েল ফাউন্ডেশন সমাজের মানুষ ও তাদের সম্প্রদায়ের কথা শুনে, তাদের গল্প বলতে সহায়তা করে। আর কথার পিছনে সত্যিকারের পদক্ষেপ গ্রহন এবং নেতৃত্ব প্রদানে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করে।  

উল্লেখ্য, প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান তাদের প্রথম সন্তান আর্চিকে স্বাগত জানান ২০১৯ সালের বসন্তকালে। কেনিস্টোন প্যালেস রেসিডেন্টস তখন তাদের বার্তায় বলেন, রয়্যাল হাইনেস ডিউক ও ডাচেস প্রথম সন্তান লাভ করছেন। তারা বিশ্বব্যাপী সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, কারণ বিয়ের পর থেকেই তারা সকলের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন। তাই এমন খুশির খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে তারা খুশি। মেগান বিখ্যাত অভিনেত্রী। প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের বিবাহ সুসম্পন্ন হয় রূপকথার মতো করে।

স্বনির্ভর আর সাধারণ জীবনযাপন করবেন বলেই রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। রাজপরিবার ও রাজপ্রাসাদের পাশাপাশি ত্যাগ করেন রাজকীয় উপাধি ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধাও। নতুন করে জীবন শুরুর তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন কানাডায়। বৃটিশদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা কানাডার ভিক্টোরিয়াতেই নতুন বাড়িতে স্ত্রী মেগান মার্কেল ও ছেলে আর্চিকে নিয়ে সংসার সাজিয়েছেন। তারপর বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার মধ্য দিয়েই স্বনির্ভর হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল বড়সড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের সঙ্গে। বেশ কয়েক বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে তাদের। এক বিবৃতির মাধ্যমে এই দম্পতি জানিয়েছেন যে, ভাল কন্টেন্ট প্রোডিউস করাই তাদের উদ্দেশ্য। বাবা-মা হিসেবে চান এমন পারিবারিক শো প্রযোজনা করতে, যা সকলকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

শো বিজনেসে হ্যারির পদার্পণ নতুন হলেও মেগান মার্কেল এক সময় জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ছিলেন। ফলে আগে থেকেই এই বিষয়ে দখল রয়েছে। আর সেই অভিজ্ঞতাকে তিনি কাজে লাগাবেন বলেই সবাই ধারণা করছেন। ২০১৮ সালে ‘স্যুটস’ সিরিজে তাকে দেখা গিয়েছিল। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে স্বামীর প্রযোজনাতেই আবারো পর্দায় প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন!

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com