টক্করে ভারত-পাক, নেপথ্যে চীনা ইন্ধন
ভারতের বিরুদ্ধে চীনের ষড়যন্ত্র জারি।ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করতে কোমর বেঁধে তৈরি চীন। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের শক্তি বাড়াতে সে দেশকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন। উদ্দেশ্য একটাই যেনতেন উপায়ে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত রাখা।
জারি চীন-ভারত বৈরিতা। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে লড়িয়ে দিতে আঁটঘাট বাঁধছে চীন। পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে সে দেশ। লাদাখে ভারত- চীন সীমান্ত উত্তেজনায় পর্যুদস্তু হওয়ার পর থেকেই ভারতকে অপদস্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে চীন। ভারত ও পাকিস্তানের লাইন অফ কন্ট্রোলে ভারতে চাপে রাখতে পাকিস্তানকে ৫০টি সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহ করেছে চীন।
চলতি মাসে, বেজিং পাকিস্তানকে ৫০ টি উইং লুং সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহ করেছে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ভারতের স্থলযুদ্ধের ক্ষেত্রে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ওই ড্রোনের সঙ্গে লড়াই করার সার্মথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে নেই বলেই খবর। লিবিয়া , সিরিয়ার মতো দেশের কাছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন অনেক সময়েই কাজে এসেছে। তবে ভারতের কাছে এই অত্যাধুনিক ড্রোনের সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রযুক্তি এখনও পর্যন্ত নেই বলেই লড়াই শুরুর আগে অনেকটাই এগিয়ে রইল পাকিস্তান। তবে এ কথা মানতেই হবে যে, এই সশস্ত্র ড্রোন অবিশ্বাস্যভাবে আকাশ সীমানার দখল নিয়ে নেয়। আফগানিস্তান এবং ইরাকে বিদ্রোহী বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যখন এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল তখন আমেরিকা সাফল্য পেয়েছিল। ওই সমস্ত এলাকার আকাশপথে দ্রুত আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছিল আমেরিকা। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাদাখে এই ড্রোন ব্যবহার হলে তা পাকিস্তানের কাছে অনেকটাই সুবিধাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের কাছে এই মুহূর্তে কোন রকম অত্যাধুনিক ড্রোন নেই। তবে ভারতীয় নৌবাহিনী বন্ধু বা শত্রু রাষ্ট্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি ড্রোন ইজারা নেওয়া হয়েছে।