যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন
যুক্তরাজ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন পেয়েছে। অক্সফোর্ডের টিকাটি দেশটির টিকাদান কর্মসূচিতে একটি মাইলফলক তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে এটি অপেক্ষাকৃত কম মূল্য ও সহজ সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচির জন্য তুলনামূলক সহজ।
টিকাটি ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া মানে, এটি নিরাপদ ও কার্যকর বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এর বাইরেও অক্সফোর্ড টিকা অনুমোদন পাওয়ার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যেমন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এটিতে তা নেই। সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
এরইমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যকাসিন অর্ডার করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ ৫০ মিলিয়ন মানুষকে দুই ডোজ করে এ টিকা দেওয়া যাবে। এটি ব্রিটিশ সরকারের ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে গতিশীল করে তুলবে।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি ডিজাইন করা হয়েছিল। এপ্রিলে প্রথম এটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়। পরে হাজার হাজার মানুষের ওপর ব্যাপক আকারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। আর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এ মাসেই ফাইজার টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ এই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাসকেল সোরিয়ট বলেছেন, আমরা মনে করি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর উইনিং ফর্মুলা আমরা পেয়ে গেছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের বেঁধে দেওয়া মান বজায় রাখতে পেরেছি আমরা। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক প্রভাব অনেক বেশি হবে বলেও মনে করেন তিনি।