ব্রিটিশ রাজপরিবারের আয়ের উৎস

0

সময়ের আবর্তনে প্রবল প্রতাপশালী ব্রিটিশ রাজপরিবারের অধীন প্রায় সব উপনিবেশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। তবু ভালোভাবেই টিকে আছে রাজপরিবারের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড।

সমসাময়িক আর সব রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে। তবু আজকের দিনে এসেও ব্রিটেনে সবচেয়ে শ্রদ্ধার পাত্র রাজপরিবার। এখনো ব্রিটেনের সাধারণ জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নারীর নাম আলেকজান্দ্রা মেরি। যাকে সবাই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নামেই চেনে। এখনো যেকোনো রাজকীয় ব্যাপারে ব্রিটেনের মানুষের আগ্রহ থাকে অনেক বেশি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রেঞ্চ রাজপরিবার ১৭৯০ সালে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এখনো সম্মানের সঙ্গে টিকে আছে ব্রিটেনের রাজপরিবার। এর মূল কারণ হিসেবে বলতে হয়, রাজপরিবারের নমনীয় নীতি। সময়ের আবর্তনে তারা সমর্থন দিয়েছে গণতন্ত্রকে, মিশেছে সাধারণের সঙ্গে।

কিছু ক্ষেত্রে নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। নতুন প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিশাল রাজ্যের পতন হলেও টিকে আছে ব্রিটেনের রাজপরিবার। তবে শুধু টিকে আছে বললেই রাজপরিবারের মাহাত্ম্য বোঝা যায় না। এখনো বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর মধ্যে আছেন রানী এলিজাবেথ। ভূরাজনৈতিক শক্তির দিক থেকে অনেকটা খর্ব হলেও অর্থনৈতিকভাবে দারুণ শক্তিশালী অবস্থানে আছেন ব্রিটেনের সবচেয়ে সম্মানিত পরিবারের সদস্যরা। তাদের এই বিশাল সম্পত্তির মূল উৎস মূলত জমিদারি। বিশাল ভূসম্পত্তি থেকে আসা খাজনা বা আয়করই এখনো ব্রিটেন রাজপরিবারের অর্থনীতিকে পুরোপুরি সাহায্য করে চলেছে। তবে ব্যক্তিভেদে এসবের বণ্টনেও আছে বৈচিত্র্য।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ

১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং কুইন এলিজাবেথের জ্যেষ্ঠ মেয়ে হিসেবে জন্ম নেন আলেকজান্দ্রা মেরি। বাবার মৃত্যুর পরে সিংহাসনে বসেন আলেকজান্দ্রা মেরি। সিংহাসনে আসীন হওয়ার পর পদবি অনুযায়ী পরিচিত হতে থাকেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ হিসেবে। ১৯৫৩ সালে তিনি যখন সিংহাসনে বসেন, তখন ব্রিটিশদের শক্তি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছিল। হাতছাড়া হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ক্ষমতাও। সেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন। মাঝে কেটে গিয়েছে ছয়টি দশক। রাজপরিবারের ইতিহাস তো বটেই তিনি সারা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি।

ধনাঢ্য রাজপরিবারের সবচেয়ে ক্ষমতাসীন ব্যক্তির পাশাপাশি সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নামও রানী এলিজাবেথেই। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রানীর মূল আয়ের উৎস প্রধানত তিনটি। একটি হচ্ছে ব্রিটেন সরকারের কাছ থেকে বার্ষিক হারে পাওয়া সোভরেইন গ্র্যান্ট, দ্য ড্যাচি অব ল্যাংকেস্টার এস্টেট এবং তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন সম্পত্তি ও বিনিয়োগ। সোভরেইন গ্র্যান্টের হিসাব অনুযায়ী একটি এক্সপেন্স অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের যাবতীয় খরচ সামলায়। এই গ্র্যান্টের আওতায় রানী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে করমুক্ত ৪২.৮ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছিলেন। বাকিংহাম প্যালেসের সংস্কারের জন্য যা পরে বেড়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়। সোভরেইন গ্র্যান্ট নামের এই রাজকীয় সম্পত্তি মূলত রিয়েল এস্টেট বিজনেস। যার মূল্য বর্তমান বাজারে প্রায় ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড।

রানীর আয়ের অন্য এক বিরাট উৎস দ্য ড্যাচি অব ল্যাংকেস্টার। এর গোড়াপত্তন ১২৬৫ সালে। এটি মূলত একটি ব্রিটেন রাজপরিবারের বাণিজ্যিক, কৃষিজাত ও আবাসিক সম্পত্তি। তবে এটি সরকারি সম্পত্তি নয়, বরং উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া প্রাইভেট প্রোপার্টি বা পারিবারিক সম্পত্তি। রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ মেয়ে হিসেবে এই সম্পত্তি বুঝে পান রানী এলিজাবেথ। তার মৃত্যুর পর এই সম্পত্তির মালিক হবেন প্রিন্স চার্লস। বছরে এই সম্পত্তি থেকে গড়ে রানীর আয় হয় ১৯ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড। আর এই বিপুল অর্থের পুরোটাই ব্যয় হয় রানীর ব্যক্তিগত খরচের খাতে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে ক্রাউন এস্টেট থেকে রানী পেয়েছেন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড। আর এই অর্থের সবটাই রানী বুঝে পেয়েছেন। রাজপরিবারের সম্মান অনুযায়ী এই বিপুল অর্থের পুরোটাই করমুক্ত। এই সুবিধাকে সম্মানের পাশাপাশি রানীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং উপহার হিসেবেও বিবেচনা করে ব্রিটেন সরকার। রানীর ক্রাউন এস্টেটের বেশির ভাগ সম্পত্তি মূলত লন্ডনে। ইংল্যান্ডের বাইরে গ্রেট ব্রিটেন অঞ্চলের আওতাভুক্ত স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ডেও ক্রাউন এস্টেটের সম্পদ রয়েছে। এই ক্রাউন এস্টেটের পত্তন মূলত ব্রিটেনের ইতিহাসের শুরু থেকেই জড়িয়ে আছে। এর বাইরেও রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৩ হাজার একর খামার, আবাসিক সম্পত্তি, বাণিজ্যিক কার্যালয়, দোকান, পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনার রাজস্ব।

এই তিন উল্লেখযোগ্য খাতের বাইরেও রানীর নিজস্ব কিছু সম্পত্তি আছে। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসল এবং পূর্ব ইংল্যান্ডের সান্দ্রিগ্রাম এস্টেট। এই দুটি সম্পত্তিই রানী উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন তার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে। জমিজমা, খামারের মতো সম্পত্তি ছাড়াও রানীর সংগ্রহশালায় আছে অজস্র বিরল ও মূল্যবান ডাকটিকিটের সংগ্রহ। আর সেই সঙ্গে বিশ্বের সব খ্যাতনামা শিল্পীর শিল্পকর্মের মূল কপি।

প্রিন্স চার্লস

প্রিন্স অব ওয়ালস হিসেবে পরিচিত প্রিন্স চার্লসই রানীর পর সিংহাসনে আসীন হবেন। প্রিন্স চার্লসের আয় তার স্ত্রীর সঙ্গেই একীভূত করে রাখা হয়। রাজকীয় পদবি অনুসারে পরিচিত ডাচেস অব কর্নওয়াল হিসেবে পরিচিত হন তার স্ত্রী ক্যামিলা। রাজপরিবারের জনপ্রিয় এই দম্পতির আয় বলতে গেলে অনেকাংশেই জনগণের অর্থের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই অর্থ বন্ধ হলেও তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির প্রাচুর্য কোনোভাবেই কমে আসবে না। রাজসিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লসের সম্পদের মূল্য আজকের দিনে প্রায় ৩৭০ মিলিয়ন ডলার। রাজপুত্র চার্লস এবং তার পত্নী ক্যামিলার আয়ের সবচেয়ে বড় ও প্রধান উৎস ডাচি অব কর্নওয়াল এস্টেট। ১৩৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ড্যাচি অব কর্নওয়াল’ নামের প্রাইভেট এস্টেট থেকে লাভের পুরোটাই পান প্রিন্স চার্লস। যদিও এর প্রকৃত মালিকানা রানীর অধীনে। তবু এখান থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি রানী নিজের সন্তানের জন্যই বরাদ্দ রেখেছেন। এই প্রাইভেট এস্টেটটি ইংল্যান্ডের ওয়ালস এবং কর্নওয়েলের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় সম্পত্তি দেখাশোনাসহ বেশ কটি দ্বীপ এবং কটেজ ভাড়া দিয়ে থাকে। যদিও প্রথমদিকে এই জায়গাগুলো থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যয় হতো চার্লস দম্পতির দুই সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির পরিবারের জন্য। তবে আয়ের উৎস শুধু এটুকুই না। রানীর সুবিশাল সোভরেইন গ্র্যান্ট থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ রয়েছে প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলা পার্কারের নামে। এই অর্থ ছাড়াও ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকেও বছরে ৪ লাখ ৬১ হাজার পাউন্ড অর্থ অনুদান হিসেবে পান প্রিন্স চার্লস।

তবে এত আয়ের বিপরীতে প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলা পার্কারের ব্যয় সে অর্থে খুব বেশি নেই। তাদের আয়ের অধিকাংশই খরচ হয় শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কাজ ও ভ্রমণের জন্য। তবে রানীর মতো অতটা সুযোগ নিয়ে অর্থ ব্যয় করতে পারেন না প্রিন্স চার্লস। যত দিন পর্যন্ত সিংহাসনে না যাচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত নিয়মিত কর দিতে হবে তাকে। এই কারণে মোট সম্পত্তির প্রায় এক-চতুর্থাংশ ব্রিটিশ সরকারের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হয় প্রিন্স চার্লসকে। এসব খরচ আর করের বোঝা শেষ করে উদ্বৃত্ত থাকা প্রায় ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড যায় প্রিন্স চার্লসের সন্তান, অনানুষ্ঠানিক কেনাকাটা এবং রাজকীয় সেভিংস অ্যাকাউন্টের পেছনে।

প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি

প্রিন্স চার্লসের দুই সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। প্রথম জনের পত্নী কেট মিডলটন এবং দ্বিতীয়জনের পত্নী মেগান মার্কেল। এই দুই ভাই-ই রানীর পক্ষ হয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক কাজে অংশগ্রহণ করার বিনিময়ে অর্থ পেয়ে থাকেন। তা ছাড়া শুধু বাবা প্রিন্স চার্লসের অনুদানের ওপরই নয়, প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি দুই ভাই-ই তাদের মা প্রিন্সেস ডায়ানার সম্পত্তিও উত্তরাধিকারী হিসেবে পেয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে দুজনেই আলাদাভাবে ক্যারিয়ার গড়েছেন। যার মধ্যে প্রিন্স উইলিয়াম একজন পাইলট ছিলেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত রয়্যাল আর্মিতে কাজ করেছেন। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ উঁচু পদ পেয়েছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম। আর প্রিন্স হ্যারি সম্প্রতি জনগণের অর্থের বাইরে গিয়ে নিজস্ব স্বাধীনতা পেতে ছেড়েছেন রাজপরিবারের পদবি। বড় ভাই উইলিয়ামের মতোই প্রিন্স হ্যারি নিজেও যুক্ত আছেন সেনাবাহিনীর সঙ্গেই। তবে রয়্যাল আর্মি নয়, বরং সরাসরি ব্রিটিশ আর্মির স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত আছেন প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট সন্তান।

বাদবাকি সদস্যরা

ব্রিটেন রাজপরিবারের সদস্যসংখ্যা মোটেই কম নয়। তারা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বিপুল সম্পদের মালিক। যদিও বড় সন্তান বিবেচনায় বাদবাকিদের তুলনায় প্রিন্স চার্লস কিংবা প্রিন্স উইলিয়াম এবং পরে তাদের বড় সন্তানরাই সব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু তার পরও মর্যাদা কিংবা অর্থের দিক থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবেন না বাকি সদস্যরা। রাজপরিবারের বাকি এই সদস্যরা কীভাবে অর্থ পান, সে বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। যেমন প্রিন্স চার্লস ছাড়াও রানী এলিজাবেথের আরও তিন সন্তান আছেন এবং সেই তিন সন্তানেরও দুই থেকে তিন পুরুষ পর্যন্ত বংশধারা রয়েছে।

রানীর সবচেয়ে ছোট দুই ছেলে ডিউক অব ইয়র্ক বলে পরিচিত অ্যান্ড্রু এবং আর্ল অব অ্যাসেক্স বলে পরিচিত এডওয়ার্ড রাজপরিবারের দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন। মূলত তাদের পেশাই রাজপরিবারকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়া। তাদের এসব কাজের মধ্যে আছে মায়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা। আর রানী এলিজাবেথ এ কাজের জন্য তার এই দুই সন্তানকে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকেন।

ভবিষ্যৎ

ভবিষ্যৎ বিবেচনা করলে এটা বেশ পরিষ্কার যে, রানী এলিজাবেথের পর সবকিছুই যাবে প্রিন্স চার্লসের কাছে। আর প্রিন্স চার্লসের সব পদবি আর সম্পদের ভাগ পাবেন প্রিন্স উইলিয়াম। যেহেতু প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবারের পদবি ছেড়ে দিয়েছেন, তাই সেনাবাহিনীতে বাড়তি মর্যাদা এবং বিশেষ অর্থ উপার্জনের সুযোগ দুই-ই হারাবেন। এর বাইরে ডিউক অব ইয়র্ক পরিচয়ে থাকা অ্যান্ড্রু কিংবা আর্ল অব অ্যাসেক্স এডওয়ার্ড মায়ের অবর্তমানে নিজস্ব দায়িত্বে থাকবেন কি না তাও অজানা এক প্রশ্ন।

তবে বর্তমানে প্রায় সব সদস্যই ব্যক্তিগত একটি ইমেজ এবং ক্যারিয়ারের দিকে বেশ মনোযোগী হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে শুধু পারিবারিক প্রথার আয় নয় বরং ব্যক্তিগতভাবেও বেশ সমৃদ্ধ হতে চলেছেন রাজপরিবারের সদস্যরা। আর যদি কখনো ব্রিটেন মনে করে তাদের রাজপরিবারের প্রথা বিলুপ্ত করা দরকার, সে ক্ষেত্রেও খুব বেশি সমস্যায় অন্তত থাকার কথা নয় এই পরিবারের কারোরই। প্রায় সবাই সুদীর্ঘকালের ব্যক্তিগত সম্পত্তি পাবেন। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্যবসাও থেকে যাবে তাদের নামের পাশে। গ্রেট ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসের বাসিন্দাদের তাই খুব সহসাই আর্থিক চিন্তার মধ্যে যেতে হচ্ছে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com