শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

0

বগুড়ায় সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় আদমদিঘী উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজার বিরুদ্ধে ৭ কোটি টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। রোববার দুদক সমন্বিত বগুড়া জেলা কার্যালয়ে রাজার বিরুদ্ধে সাত কোটি ২১ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয়ের অভিযোগে এ মামলাটি করেন সহকারি পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন সান্তাহার বাফার গুদাম। দেশে কৃষকদের জন্য সার উৎপাদনের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণে সার আমদানি করে থাকে বিসিআইসি। দেশের ২৪টি বাফার গুদামে এসব সার সংরণ করা হয়। আমদানি করা সার গুদাম পর্যন্ত পরিবহন করা হয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু সার পরিবহনের সময় নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। তদন্তে রাজার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ মেলে।

সান্তাহার বাফার গুদামের ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের প্রায় ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলার আসামী সান্তারহার বাফার গুদামের সাবেক ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. নবীর উদ্দিন এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা। এই মামলার তদন্তে নেমে দুদক রাজার অঢেল সম্পদের খোঁজ পায়।

দুদকের পাওয়া চিঠির পর গত বছর ২১ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিল করে রাশেদুল ইসলাম রাজা। তার দেওয়া তথ্যে ৭ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৫ হাজার টাকার তথ্য গোপান ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

বগুড়া দুদকের আইনজীবি এসএম আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, সান্তাহার বাফার গুদামে সার চুরির ঘটনা বিশাল। এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের আগেও রাজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com