জামিন মঞ্জুর এমপি পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের

0

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম আত্মমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।

গত ২৬ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। 

এরআগে একই আদালত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালীকার ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ ও ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, দুদক পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের নির্দেশ দেন। যার মধ্যে পাপুলের ১৪৮টি, স্ত্রী সেলিনা ইসলামর ৩৪৫টি, মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৭৬টি ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৪৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, পাপুলসহ আটজনের ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করে সিআইডি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।

পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর ১১ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানের’ আড়ালে জেসমিন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থপাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। আসামি শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, বিধায় এ সুবিধা গ্রহণ করতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি। এসব অভিযোগে গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তদন্ত করে দুদক জানতে পারে।

এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিনের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com