কখন হাঁটবেন, কতক্ষণ হাঁটবেন?
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি যখন সময় বের করতে পারবেন, তখনই হাঁটবেন। আর দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। যদি একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার সক্ষমতা না থাকে তাহলে তিনবার প্রতিবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন। অথবা একবার ২০ মিনিট, অন্যবার ১০ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট করে নিতে পারেন। তবে হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় বিকেল।
২০১১ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিকাল (৩ টা থেকে ৭ টা অবধি), হাঁটা এবং ব্যায়াম করার জন্য সর্বোত্তম সময়।
গবেষণায় দেখা যায় যে ফুসফুস বিকালে ৪ টা থেকে ৫টায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
এসময় হাঁটা বা ব্যায়াম করলে পেশী উষ্ণ এবং নমনীয় হয়, ফলে দ্রুত চর্বি কাটে।
দিনের সবচেয়ে কম পরিশ্রমের সময় হচ্ছে বিকেল। এ সময় অনেকেই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ, হতাশাগ্রস্থ, একাকীত্ব, হীনমন্যতা ইত্যাদি মানসিক জটিলতায় ভোগে। তাই এই সময় হাঁটা, ব্যায়াম অথবা খেলাধুলা করলে সকলের জন্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে উত্তম।বিকালের এক্সারসাইজ রাতের খাবারের হজমে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিকেলে হাঁটা বেশি ভালো কারন এতে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকে।সকালে খালি পেটে হাঁটলে অনেক সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
কাজের পর, স্কুল বা বাড়িতে একদিন পর পর স্ট্রেস রিলিফের জন্য ব্যায়াম করলে,শারীরিক ও মানসিকভাবে উপকার পাওয়া যায়।
তবে যারা বিকালে হাঁটার সময় পান না অথবা সকালে হেঁটে অভ্যস্ত তারা সকালে হাঁটতে পারেন তবে কখনই খালি পেটে হাঁটা উচিত নয়।
সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে নিয়মিত হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত সকালে হাঁটলে রক্তের লোহিত কণিকাগুলো থেকে চর্বি ঝরে যায়। এ ছাড়াও হাঁটার সময় রক্তের ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ক্ষয় হয়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
নিয়মিত সকালে হাঁটলে মেদ ভুড়ির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হাঁটলে প্রচুর ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে নিয়মিত কম ক্যালরির খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাটলে মেদ কমে এবং দেহের আকৃতি সুন্দর হয়।
প্রতিদিন সকালের মর্নিং ওয়ার্কের সময় বিশুদ্ধ বাতাস ও সুন্দর পরিবেশ আপনার হৃৎপিণ্ড ও মনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হাঁটার সময় হৃৎপিণ্ড শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করে। ফলে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ ও সচল থাকে এবং মানুষ দীর্ঘজীবী হয়।
চোখকে কিছুটা আরাম দিতে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে হাঁটার বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ হেঁটে আসলে সারাদিন কাজের উৎসাহ বাড়ে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।