“ভোটারবিহীন জালিয়াতির নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে”
কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানিয়েছেন তারা। ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বরাবর একটি আবেদন দেয়া হয়েছে। ওই আবেদনের সঙ্গে নুরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিস্তারিত সংযুক্ত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী “প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র।” নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের সূচনা হয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে একটি ‘স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা দেয়া আছে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের সংবিধানে কমিশনকে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ বেশ কিছু আইনও প্রণয়ন করেছে। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা কাজে লাগানোর এবং এসব আইন ও বিধিবিধানের যথাযথ প্রয়োগের ওপরেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক শাসন নির্ভর করে। পক্ষান্তরে, বিতর্কিত ও ভোটারবিহীন নির্বাচন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আরও নির্ভর করে কমিশনের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থাকার ওপর। এর ব্যত্যয় ঘটলে অর্থাৎ কমিশন অসততায় লিপ্ত হলে ও আইনের লঙ্ঘন করলে বা আইন প্রয়োগে উদাসীনতা দেখালে, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে; বর্তমান নির্বাচন কমিশন যা বার বার করে আসছে এবং দেশে একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে যাচ্ছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের মত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষমতা পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি হিসেবে নির্বাচনের ওপর জনগণ স¤পূর্ণভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, যার প্রতিফলন ঘটছে ভোটারদের ভোট প্রদানে অনীহা প্রদর্শনে। জালিয়াতির নির্বাচনের ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা বদলের পথ রুদ্ধ হলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা বদলের পথ প্রশস্ত হয়, যা কোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকের জন্যই কাম্য নয়। জনাব কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে এবং আমাদের আশঙ্কা যে তাঁরা দায়িত্বে বহাল থাকলে আমাদের নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
এমতাবস্থায় কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে আমরা মনে করি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু মিসকনডাক্ট বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরা হয় আবেদনে। বলা হয়, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পেশাগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। আগস্ট ০৬, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত প্রথম আলোর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারগণ নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বক্তৃতা না দিয়েই উক্ত কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়েছেন। আর এই অর্থের পরিমাণ দুই কোটি টাকার বেশি। সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় প্রাপ্য বেতন-ভাতাদির বাইরে কোনো কিছুর বিনিময়ে অর্থ লাভ সংবিধানের ১৪৭(৩) অনুচ্ছেদের সু¯পষ্ট লঙ্ঘন, যা একটি গুরুতর অসদাচরণ। তদুপরি উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা না করে অভিযোগটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নভেম্বর ২৫, ২০১৯ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ৪ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ তুলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
লিখিত বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ৩৩৯টি শূন্যপদের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন প্রার্থী অংশ নেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদকে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এই অর্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুমোদন করলেও কতজন পরীক্ষককে কীভাবে প্রদান করা হয় সেই হিসাব কমিশনের কাছে নেই। এমনকি নিয়োগ কমিটির সদস্যবৃন্দও এ বিষয়ে জানেন না। ইসি সচিবালয় পরীক্ষা স¤পর্কে কিছু জানে না এবং প্রশ্নপত্রের ধরনও প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা হানড্রেড পার্সেন্ট আইনসম্মত। সংবিধান, আইন, বিধি ও নিয়মকানুন ফলো করে করা হয়েছে। এ নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অর্থ ব্যয় স¤পর্কে নির্বাচন কমিশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট নথি তলবের মাধ্যমে উপযুক্ত তদন্তে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গুরুতর অসদাচরণ নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অক্টোবর ০৩, ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনের করা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিন জন নির্বাচন কমিশনার নিয়মবহির্ভূতভাবে ৩টি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করছেন। কমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা দুইটি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা একটি জিপ ও একটি প্রাইভেট কার ব্যবহার করতেন। তবে জুলাইয়ে সব নির্বাচন কমিশনারদের নতুন গাড়ি দেওয়া হলেও তিন নির্বাচন কমিশনার এখনো তাঁদের আগের ব্যবহৃত গাড়ি জমা দেননি। তাঁরা বর্তমানে আগের জিপসহ তিনটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। ইভিএম ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়টিও উল্লেখ করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম সম্পর্কে আবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নভেম্বর ০৮, ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম তফসিল (১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষিত হয়) ঘোষণার মাত্র দুই দিন পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই কিশোর নিহত হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনপূর্ব প্রচারণা চালানোর পুরো সময় জুড়েই নানা ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১৭(৩)তে এসব আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এ ব্যাপারে কমিশনকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি, যা আইন প্রয়োগে কমিশনের ইচ্ছাকৃত এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যর্থতা বলে আমরা মনে করি। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮ ভোট গ্রহণের দিন নানা ধরনের অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে।
বিবিসি বাংলার এক সাংবাদিক চট্টগ্রাম-১০ আসনের একটি কেন্দ্রে সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ভরা দেখতে পান বলে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভোটগ্রহণের সারাদিনই পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক জরিপেও আগের রাতে সিল মেরে রাখার অভিযোগ উঠে আসে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত ৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনেই আগের রাতে সিল মেরে রাখার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে টিআইবি। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে আরও যেসব নির্বাচনী অনিয়ম ওঠে আসে সেগুলো হলো: ৫০টি আসনের মধ্যে বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জালভোট দেয়া হয়েছে ৩০টিতে, পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে ২৯ আসনে, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে ২৬ আসনে, ভোটারদের জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে ২৬ আসনে, ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২২ আসনে, আগ্রহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে তাড়ানো হয়েছে ২১ আসনে, ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভরে রাখা হয় ২০ আসনে, প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মারধর করা হয় ১১ আসনে। প্রতিবেদনটিতে উঠে আসা প্রত্যেকটি ঘটনা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৭৩-৯০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হওয়া স্বত্ত্বেও কমিশন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে নূর হোসেন বনাম নজরুল ইসলাম মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে উক্ত কারচুপির অভিযোগগুলির ব্যাপারে কোনো তদন্তের উদ্যোগ নিতে এবং কারো বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা দেখিনি। আইন প্রয়োগে এই অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষ্ক্রিয়তা নিঃসন্দেহে গুরুতর অসদাচরণ, যা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এতে আরো বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ছয় মাস পর তথ্য অধিকার আইনের অধীনে বাধ্য হয়ে প্রকাশ করা কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে অনেকগুলো অস্বাভাবিকতা এবং অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়, যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রকাশিত ফলাফল ছিল বহুলাংশে বানোয়াট। প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যায়, ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক এবং সম্ভব নয়। কেননা তালিকাভুক্ত ভোটারের মৃত্যুবরণ, দেশের বাইরে অবস্থান, জরুরি কাজে এলাকার বাইরে অবস্থান, অসুস্থতা ইত্যাদি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া যে কোনো যুক্তিতেই অস্বাভাবিক। এছাড়া ৭,৬৮৯টি (মোট কেন্দ্রের ১৯.১৫%) কেন্দ্রে ৯০ ভাগ থেকে ৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে যাও কোনোভাবেই স্বাভাবিক ও বাস্তবসম্মত নয়। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে আরো দেখা যায়, ৫৯০টি কেন্দ্রে বৈধ ভোটের শতভাগ অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটের মধ্যে যে কয়টি ভোট বৈধ হয়েছে সব একটিমাত্র প্রতীকে পড়েছে। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা ১,১৭৭টি (মোট কেন্দ্রের ২.৯৩%) কেন্দ্রে, লাঙ্গল প্রতীক ৩,৩৮৮টি (মোট কেন্দ্রের ৮.৪৪%) কেন্দ্রে, হাতপাখা প্রতীক ২,৯৩৩টি (মোট কেন্দ্রের ৭.৩০%) কেন্দ্রে, এমনকি সরকার দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ২টি কেন্দ্রে কোনো ভোট-ই পাননি, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফলাফলের এমন অস্বাভাবিকতা নির্বাচন কমিশনের গুরুতর অসদাচরণের প্রতিফলন। বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়মের তথ্যও তুলে ধরা হয় আবেদনে।
এসব ব্যাপারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত চাওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলি খান, এডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরীসহ ৪২ নাগরিকের পক্ষে আবেদনটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।