আওয়ামী ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র-সমাজ থেকে উচ্ছেদ করেছে: ডা. শাহাদাত

শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। তাদের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র-সমাজ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

ডা. শাহাদাত বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আজকে রাস্তায় মিছিল করছে। তারা যদি ভাস্কর্য ইস্যুতে মিছিল করতে পারে, তাহলে মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার জন্যও রাস্তায় নামতে পারেন। কিন্তু তারা সেটাতো করবেন না, কারণ তারাইতো মানুষের ভোটাধিকার হরণে জড়িত। ভোট ডাকাতির সাথে রাষ্ট্রযন্ত্রের অতি উৎসাহী কিছু অফিসার জড়িয়ে গেছে। এই অতি উৎসাহী অফিসারদের কারণে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজ হুমকির মুখে।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বীর বাঙালি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার বাহিনীর গুপ্ত ঘাতকরা রাতের আঁধারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে।

নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দু’দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এদেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদ প্রমুখ।