পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এজেন্টদের বের করে দিয়েছে: জাহাঙ্গীর

0

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে ও ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মালেকা বানু উচ্চ বিদ্যালয় ভোটদান শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অতীতে আমরা যে অভিযোগ করেছি সে অভিযোগ সত্যি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঢাকার বাহিরে গাজীপুর, সাভারসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে জড়ো করেছে। ভোটাররা সেখানে ভয়ে ভোট দিতে পারছে না। শুধু তাই নয়, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আমাদের আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় ভোটার তো দূরের কথা ধানের শীষের এজেন্টদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি যতটা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের কন্ট্রোল রুমের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় কেন্দ্র থেকে মারধর করে পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উত্তরা রাজউক কলেজে ৮টি ইভিএম মেশিনের ৪টি নষ্ট। সেখানে সাংবাদিকরা প্রবেশকালে তাদের বাধা দেয়া হয়। নবাব হাবিবুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই কেন্দ্রের ভোটার না হওয়ায় ধানের শীষের ঢুকতেই দেয়নি দেয়নি পুলিশ। যা নির্বাচন কমিশনার আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। এই হচ্ছে ভোটের অবস্থা। তারা কোনভাবেই যায় না জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। জনগণ যাতে ভোট দিতে আসতে পারে তাহলে অবশ্যই ধানের শীষে ভোট দিন ভোট দেবে।’

ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের দেশের ভিতরে কোন বহিরাগত এবংকোন প্রার্থীর ক্যাম্প করতে পারবে না কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশ পথে নৌকার কৃত্রিম লাইন তৈরি করে রেখেছে। যার কারণে ভোটাররাও ভয় প্রবেশ করতে পারছ না। এটা কীসের আলামত।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। কিন্তু এবার ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। আপনি বলেন আপনারা বলেন অনেকে চাকরি করে তারা উপস্থিত ভোট দিতে আসবে না। এখানে সবকিছু ওপেন স্টাইলে চলছে। দখলদার বাহিনীর দখল করবে বলে কবে এসব প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বাহিনী সব একাকার হয়ে ভোট দখলের চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছি। আবার এই কেন্দ্রে সকালে ১০ জন ভোটার ভোট দিতে এসেছিল, তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা ধানের শীষের চিহ্নিত ভোটার পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনও আলামত নেই। সুষ্ঠু হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের যেরকম ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে এবারও তাই করছে। আওয়ামী লীগ তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। ভোটার কোনও পরিবেশ নেই।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com