ভারতকে ঠকিয়েছে ইসরাইলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি

0

ভারতের পার্লামেন্টে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে কম্পট্রোলার অ্যাণ্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইসরাইলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (আইএআই) কাছ থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনী ড্রোনের (ইউএভি) জন্য যে ইঞ্জিন কিনেছে, সেই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আইএআই এই চুক্তিতে অন্যায্যভাবে ৩.১৬ কোটি রুপির মুনাফা করেছে।

এতে বলা হয়েছে যে, বিমান বাহিনী আইএআই-এর কাছে পাঁচটি ৯১৪ এফ (সার্টিফায়েড) ইউএভি রোটেক্স ইঞ্জিন কেনার জন্য ২০১০ সালের মার্চে একটি চুক্তি করে, যেখানে এক একটি ইঞ্জিনের দাম পড়েছে ৮৭.৪৫ লাখ রুপি। ডিআরডিও ল্যাবরেটরি অ্যারোনটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এসটাবলিশমেন্ট (এডিই) একই ধরণের ইঞ্জিন তৈরি করেছে, যেগুলো প্রত্যেকটির দাম পড়েছে ২৪.৩০ লাখ রুপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে এই ইঞ্জিনের গড় মূল্য হলো ২১ থেকে ২৫ লাখ রুপি।

এতে বলা হয়েছে, “ফলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি এখানে বাজার দর বা ডিআরডিও’র মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে পাঁচটি ইউএভি ইঞ্জিন সরবরাহ করে অন্যায্যভাবে ৩.১৬ কোটি রুপি বারতি মুনাফা করেছে”।

প্রতিবেদক আরও অভিযোগ করেছেন যে, বিক্রেতা কোম্পানি বিমান বাহিনীকে অনুমোদনহীন ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে, যেগুলোর কারণে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমনকি একটি ইউএভি বিধ্বস্তও হয়েছে।

প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিমান বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদনহীন ইঞ্জিন দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, তবে ইঞ্জিনের দামের বিষয়টি বিমান বাহিনীর আওতায় পড়ে না।

কর্মকর্তা বলেন, “মূল্য নিয়ে দর কষাকষি করে মন্ত্রণালয়”।

সিএজি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, মিডিয়াম লিফট এমআই-১৭ হেলিকপ্টারগুলোর ‘আভিযানিক সীমাবদ্ধতা’ কাটিয়ে ওঠার জন্য সেগুলো আপগ্রেড করার ব্যাপারে ২০০২ সালে যে চুক্তি হয়, ১৮ বছরের সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।

“ফলে হেলিকপ্টারগুলোকে সীমাবদ্ধতা নিয়েই উড়তে হয়েছে এবং এই দীর্ঘ সময়ে আভিযানিক প্রস্তুতির বিষয়ে ছাড় দেয়া হয়েছে”।

সিএজি আরও বলেছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্বল পরিকল্পনার কারণে এবং ক্রয় প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ৯০টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার আপগ্রেড করার জন্য চুক্তি করতে ১৫ বছর লেগে গেছে। অবশেষে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইসরাইলের সাথে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই হেলিকপ্টারগুলো ২০১৮ সালের জুলাই থেকে হস্তান্তর শুরুর কথা এবং ২০২৪ সালের মধ্যে হস্তান্তর শেষ করার কথা। কিন্তু আপগ্রেডের পরও ৫৬টি হেলিকপ্টার মাত্র দুই বছর ব্যবহার করা যাবে, কারণ সেগুলোর মেয়াদ ২০২৪ সালেই শেষ হয়ে যাবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com