কাশ্মীরে ভারতের নির্যাতন বন্ধ করতে জাতিসংঘকে ওআইসি’র আহ্বান
কাশ্মীর বিষয় ওআইসি কনটাক্ট গ্রুপ দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরেস, নিরাপত্তা পরিষদ এবং মানবাধিকার পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির অনুরোধে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
বৈঠকে সৌদি আরব, নাইজার, আজারবাইজান আর পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওআইসি মহাসচিবের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ওআইসি অবজার্ভার মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি, অ্যাম্বাসাডর আগশিন মেহদিয়েভ।
ওআইসি গ্রুপ অবৈধভাবে ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানী মিশন থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কাশ্মীর বিবাদের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে কনটাক্ট গ্রুপ জাতিসংঘ প্রধানের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে যাতে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট নেয়া একতরফা পদক্ষেপ পুরোপুরি বাতিলের জন্য তিনি ভারতের উপর চাপ দেন এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য কাশ্মীরীরা যাতে গণভোটে অংশ নিতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশির বিশেষ বার্তা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম বলেন যে, ভারতের আরএসএস-বিজেপির সরকার তাদের নিজেদের বানানো ‘চুড়ান্ত সমাধান’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান সরকার নতুন অধিবাসী আইন করে কাশ্মীরের জনমিতিক চেহারা বদলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নতুন করে যে ১.৬ মিলিয়ন স্থানীয় অধিবাসী সনদ দেওয়া হয়েছে, সেটার উদ্দেশ্য হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে পরিণত করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের মুসলিম পরিচয় মুছে দেয়ার জন্য আরেকটি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নতুন আইনে উর্দু ভাষাকে বদলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাশ্মীরে ভারত যে ‘স্বাভাবিক’ পরিস্থিতির দাবি করেছে, সেটা পুরোপুরি ভণ্ডামি। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের আঠারোটি স্পেশাল ম্যান্ডেট হোল্ডার গত মাসে জানিয়েছে যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে।