ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ২৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, মারণাস্ত্র ও পরমাণু কার্যক্রমের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এ নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গ্লোবাল টাইমস জানায়, জাতিসংঘ আরোপিত আগের সব নিষেধাজ্ঞা ফেরানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ঘোষণা সংস্থাটিতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নিল ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, মারণাস্ত্র ও পরমাণু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত ও যুক্ত ২৪ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন এ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনা হলো।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা ও তার ডিরেক্টর এবং পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আজকে আমি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছি। যার মাধ্যমে ইরান থেকে বা দেশটির সঙ্গে কনভেনশনাল অস্ত্র বিক্রি, সরবরাহ করার পাশাপাশি সে সম্পর্কিত প্রাযুক্তিক প্রশিক্ষণ, অর্থ সহায়তা বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পত্তি জব্দ করা হবে।’
এদিকে এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ ‘এটি নতুন কিছু নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যতটা চাপ দিতে পারে তার সবই বহন করেছে ইরান। এসব নিষেধাজ্ঞায় আমাদের জনগণ তাদের কাছে নতজানু করবে, এই আশা করে তারা। যদিও সেটি হয়নি।’
ইরান ও প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে হওয়া ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অধীনে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী অক্টোবরে শেষ হচ্ছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর দাবি করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক ভোটাভুটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১১টি দেশ। ওই ভোটাভুটিতে শুধু ডমিনিকান রিপাবলিকের ভোট পায় দেশটি।
এরপর রবিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি দেন।
সেই চিঠির বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, পরিষদের অনুমোদন ছাড়া নিষেধাজ্ঞা আবার ফিরবে না।