ধর্ষকের যৌন ক্ষমতা বিনষ্ট করার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান

0

ঘৃণ্যতম ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে অভিযুক্তদের ওষুধ প্রয়োগ করে যৌন ক্ষমতা কমানোর শাস্তির প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ সম্প্রতি লাহোরে হাইওয়ের উপরে এক মহিলার গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনের গ্রেফতারের পর এই বার্তা দিয়েছেন ইমরান৷ 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই ধরনের অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর পক্ষে তিনি৷ কিন্তু যেহেতু এই ধরনের শাস্তি দিলে আন্তর্জাতিক মহলের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে, তাই রাসায়ণিক প্রয়োগ করে অপরাধীর যৌনক্ষমতা কমানোই উচিত শাস্তি বলে মনে করেন ইমরান খান৷

লাহোরের হাইওয়েতে নিজের দুই সন্তানের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা৷ গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় হাইওয়ের উপরে আটকে পড়েছিলেন তিনি৷ এই ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাকিস্তানে৷ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন কয়েকশো মহিলা৷ রাতে কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ওই মহিলা কেন একা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলে নির্যাতিতাকেই দোষারোপের চেষ্টা করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা৷ তার পরেই জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ শেষ পর্যন্ত এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে ইমরান বলেন, ‘জঘন্যতম যৌন অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া উচিত৷ কিন্তু এমন পদক্ষেপ করলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরে এর প্রভাব পড়তে পারে৷ কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অনেক সংগঠনই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী৷’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতে রাসায়ণিক প্রয়োগ করে অভিযুক্তের যৌন ক্ষমতাই নষ্ট করে দেওয়া উচিত৷ অন্যান্য অনেক দেশ এই পথেই হাঁটছে বলে আমি বেশ কয়েকটি জায়গায় পড়েছি৷’ 

ইমরানের মতে, যেভাবে খুনের অভিযোগের ক্ষেত্রে নৃশংসতা বিচার করে শাস্তি দেওয়া হয়, সেরকমই ধর্ষণের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করা উচিত৷

এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ৷ পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুদজার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করেছে৷ যে পুলিশ কর্মকর্তা ঘুরিয়ে নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করেছিলেন, লাহোরের সেই পুলিশ প্রধান উমর শেখ আমজনতার চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন৷

পাকিস্তানে এমনিতেই ধর্ষণের মতো অপরাধে সাজা দানের হার খুবই কম৷ আইনি বিশেষজ্ঞ ওসামা মালিক সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ধর্ষণের অভিযোগে সাজা দানের হার মাত্র ২ শতাংশ৷

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com