আমিরাত-ইসরায়েল ‘আনুষ্ঠানিক চুক্তি’ ১৫ সেপ্টেম্বর
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন এক কর্মকর্তা হোয়াইট হাউসে এ চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আমিরাত-ইসরায়েলের ওই ‘চুক্তি’ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকবেন।
ইসরায়েলি একটি টেলিভিশনের এক সাংবাদিক হোয়াইট হাউসের ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ ওই কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তেল আবিব ও আবু ধাবির মধ্যে এ চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে।
ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, আবু ধাবি-তেল আবিব চুক্তি স্বাক্ষরের আগে আরও কিছু আরব দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষ করে বাহরাইন ও সুদানকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।
সে সময়ই বলা হয়েছিল যে, খুব শিগগিরই দু’পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সে অনুযায়ীই আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন লড়াই, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।
আর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তিটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এটি বাতিল হওয়া উচিত।