ভয়ঙ্কর অস্ত্রসহ ভারতীয় সেনাদের মুখোমুখি চীন, সীমান্তে আবারো গোলাগুলি

0

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে কেন্দ্র করে তীব্র মাত্রায় পৌঁছল ভারত-চীন সংঘাত। ৪৫ বছর পরে এই প্রথম গুলি চলল লাদাখ সীমান্তে। তা-ও আবার পরপর দু’দিন!

এদিকে বৃহস্পতিবার মস্কোয় সাংহাই সম্মেলনের ফাঁকে ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে প্রস্তাবিত বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

গতকাল গুলি চলেছিল চুসুল সেক্টরের মুখপারি চূড়া ও রেচিন লা এলাকায়। আজও চুসুল সেক্টরে গুলি চলার খবর মিলেছে। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

ভারত-চীন সীমান্তে শেষ গুলি চলেছিল ১৯৭৫ সালে অরুণাচলে। সেবার টুলুং লা-তে চিনা সেনার গুলিতে আসাম রাইফেলসের চার সেনা মারা যান। গত জুনে গালওয়ান এলাকায় দু’দেশের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেলেও গুলি চলেনি।

লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান এম এম নরবণে।  মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত ও চীনের ব্রিগেডিয়ারদের মধ্যে হটলাইনে কথা হয়। সূত্রের মতে, গতকালের ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

গত ২৯ আগস্ট রাতে চীনা সেনার অভিযান প্রতিহত করে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে বিস্তীর্ণ এলাকা নিজেদের দখলে এনেছিল ভারতীয় সেনা। তাই ওই এলাকা দখলের উদ্দেশ্যে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ৪০ জনের মতো চীনা সেনার একটি দল লোহার রড, বর্শা, ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেয়।

চিনা সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডের মুখপাত্র কর্নেল জাং শুলির বক্তব্য, এটি অত্যন্ত গুরুতর সামরিক প্ররোচনা।

ওই অভিযোগ খারিজ করে ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক স্তরে আলোচনার মধ্যেই চীনা সেনা আগ্রাসন চালাচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন-ও কড়া সুরে বলেছেন, ‘‘চীন এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না। আমি এ কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, ভারতের পক্ষ থেকে চীনের সেনাদের দিকে প্রথম গুলি চালানো হয়েছে।’’

লিজিয়নের বক্তব্য, মতবিরোধ নিরসন করতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রয়োজন। তার কথায়, ‘‘আমরা কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে ভারতকে বলেছি অবিলম্বে এই সব বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করতে। গুলি ছোড়ার পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’’
তবে একই সঙ্গে লিজিয়ন লাদাখে আসন্ন ‘নিষ্ঠুর’ শীতের কথা বলে উত্তাপ কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চার হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার ওই এলাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ। শীতকালে মানুষ থাকার উপযোগী নয়। আমরা আশা করছি সামরিক ও কূটনৈতিক পথে সেনা কমানো সম্ভব হবে।’’

ফলে উত্তেজনা প্রশমনে মস্কোয় দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com