সাংবাদিক হত্যা: মাল্টার প্রজেক্ট বাংলাদেশেও আনতে চেয়েছিলেন কুখ্যাত ব্যবসায়ী
দুই বছর আগে মাল্টার অনুসন্ধানী নারী সাংবাদিক ডাফনে কারুয়ানা গালিয়াজাকে যে ইলেক্ট্রোগ্যাস প্রজেক্টের খবর প্রকাশের জন্য খুন হতে হয়েছিল, সেই প্রজেক্টটি বাংলাদেশেও চালু করার পরিকল্পনায় ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত ইয়ুর্গেন ফেনেখ। গালিয়াজার আইনজীবী জেসন আজজোপার্দি বুধবার আদালতে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম।
লাভইনমাল্টা জানিয়েছে, গালিয়াজা হত্যাকাণ্ডের আগেই ওই প্রজেক্টটি বাংলাদেশে একইভাবে শুরু করতে চেয়েছিলেন কুখ্যাত ব্যবসায়ী ফেনেখ।
২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর গালিয়াজা খুন হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে ছোট দেশ মাল্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমূল পরিবর্তন আসে। বিতর্কের মুখে দুই বছর পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকাট।
গালিয়াজা মূলত মাল্টার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছিলেন। ওই সময় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকারীরা পুরস্কার হিসেবে দেড় লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি) পেয়েছিলেন। গালিয়াজার ছেলে দাবি করেন, তার মায়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জড়িত।
দুর্নীতির ঘটনা যেন ফাঁস না হয়, সে কারণে সরকারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী গাড়িতে বোমা লাগিয়ে গালিয়াজাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, এমন অভিযোগও ওঠে।
প্রধান আসামি ব্যবসায়ী ফেনেখ দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ১৭-ব্ল্যাকের মালিক। ২০১৬ সালে সাড়া জাগানো পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছিল তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির।