নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ায় বৈঠকে যোগ দেননি মাহবুব তালুকদার
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পরিচালনা আইন-২০২০ প্রণয়নে একমত না হওয়ায় কমিশন সভায় উপস্থিত থাকলেন না জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এমনকি তিনি নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) উপস্থিত হননি।
সোমবার (৩১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করতে মুলতবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে একজন কমিশনার বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তিনি যেহেতু এর আগের বৈঠকে আইনটি প্রণয়নের বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, তাই তিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
গত ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ৬৯ তম কমিশন সভায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার। ওই সভায় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাই সভা মুলতবি করা হয়েছিল।
নোট অব ডিসেন্টে মাহবুব তালুকদার লিখেছিলেন, ‘…নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন পরিচালনা আইনের যে সংস্কারের যে প্রস্তাব করেছে, আমি তার সঙ্গেও একমত নই। কেবল নির্বাচন পরিচালনার জন্য ভিন্ন আইন হতে পারে না, তা সার্বজনীন হতে হবে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো, মেয়াদকাল ইত্যাদি পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য নয়। বিশেষত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদ ও পদবি পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়। এ সংস্কার কার্যক্রম নিতান্তই স্থানীয় সরকারের বিষয়।
বর্ণিত অবস্থায় আমি উল্লিখিত তিনটি বিষয়ে ভিন্নমত পােষণ করে ‘নােট অব ডিসেন্ট’ দিচ্ছি। ’
ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ও পদবিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।
নতুন প্রস্তাবিত আইনের প্রাথমিক খসড়ায় সিটি করপোরেশনকে মহানগর সভা, পৌরসভাকে নগর সভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করার প্রস্তাব রেখেছিল ইসি। আর সিটি মেয়রের পদকে মহানগর আধিকারিক, পৌর মেয়রকে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপিতা, কাউন্সিলরকে পরিষদ সদস্য, ওয়ার্ডকে মহল্লা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের প্রধান, উপ-প্রধান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে পল্লী পরিষদ প্রধান করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।