ত্রাণ বিতরণে সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দিন : অলি
করোনাভাইরাস সক্রমণরোধে এই মুহূর্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ বেকারত্বের অভিশাপের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। অদক্ষ লোকদের দিয়ে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব নয়। ত্রাণ সুষ্ঠু বিতরণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে।
রোববার এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
অলি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে দেশবাসীকে সুস্থ রাখার ব্যাপারে সরকার সুস্পষ্টভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি দিন দিন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিনমাসেও ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোশাক, অন্যান্য সরঞ্জাম ও রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রপাতি প্রতিটি জেলায় নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে জনগণকে ঘরে রাখতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্প্রসারণ রোধ করা। চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং সর্বশেষে নির্মূল করার পন্থা উদ্ভাবন করা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় জনগণকে সম্পূর্ণভাবে একনাগারে ১৫ দিন করে গৃহে রাখা নিশ্চিত করা। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ও রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মিল-কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলস্রুতিতে দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও বন্ধ। টাকার চাকা ঘুরছে না। জনগণকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
‘আশা করি সরকার এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, এই মুহূর্তে দেশে জরুরি অস্থিা জারি করে, করোনাভাইরাস এবং অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। শুধু বক্তব্য ও অদক্ষ লোকদের দিয়ে এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দেরিতে হলেও সঠিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এই মুহূর্তে জরুরি অবস্থা জারির বিকল্প নেই’,- বলে অলি।