দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় আবরারকে হত্যা: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আওয়ামী সরকারের দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় আবরারকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সহদফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা আবারও প্রমাণ করল বর্তমান সরকার দেশের মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ নির্মূল করে নিজেদের হিটলারি শাসন বজায় রাখতে চায়।
তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতেও দ্বিধা করবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ‘মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতি’র নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের মাত্রা যেন লাগামহীন হয়ে গেছে। স্বৈরাচার সরকার দেশের প্রতিবাদী মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করে দেশকে ভীতির কালো মেঘে ঢেকে দিয়েছে। যেন সরকারের অপকর্ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ লিখতে, বলতে কিংবা টুঁ শব্দ উচ্চারণ করতেও সাহস না পায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। দেশে এখন জঙ্গলের শাসন চলছে বলেই একজন মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদে ঘরে ফেরার নিরাপত্তাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা এক মৃত্যু উপত্যকায় বসবাস করছি। তিনি বলেন, সরকারের আশকারায় অপরাধীরা দেশব্যাপী লাগামহীন খুন-জখমের খেলায় আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের হিংস্র রূপ দেশের মানুষকে বোবা করে ফেলেছে।
অজানা আশঙ্কা, আতঙ্ক আর ভয়ের এক বিষাদময় পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।