কৃষক ও কৃষিখাত নিয়ে উদ্বেগ গণসংহতি আন্দোলনের
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এক যুক্ত বিবৃতিতে কৃষক ও কৃষিখাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার তারা বলেছেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতির ফলে দেশের কৃষিখাত ইতোমধ্যেই কঠিন পরিস্থিতির ভেতর পড়েছে। পরিবহন ও মানুষের গতিশীলতা কমে যাবার প্রতিক্রিয়ায় কৃষি পণ্যের চাহিদা কমে যাবার ফলে এর দাম লক্ষ্যনীয় মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। কৃষক তার ফসলের উৎপাদন খরচও পাচ্ছেন না, কখনও তার পচনশীল পণ্য ক্রেতা না পেয়ে নষ্ট হচ্ছে। একইভাবে দেশের প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস পোলট্রি খাতও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে।’
‘এমতাবস্থায় এই কৃষিখাতকে সরকারি ক্রয় ও ভর্তুকি মারফত টিকে থাকতে সহায়তা না করলে পুরো দেশের মানুষের ওপরই তা মহামারির সময় ও পরবর্তীতে ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করবে। এমনকি তা দুর্ভিক্ষের দিকেও ঠেলে দিতে পারে। ফলে জাতীয় প্রয়োজনেও এ সময় কৃষিকে বাঁচানো সরকারের অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে কৃষি খাতকে বাঁচাতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়, পোল্ট্রিসহ সামগ্রিকভাবে কৃষিখাতে ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকা’ই যখন প্রধান কাজ, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো হাজারো গৃহহীন মানুষ রাস্থায়-স্টেশনে যত্রতত্র দিনাতিপাত করছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হচ্ছে ও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও বাড়িয়ে তুলছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে বন্ধ স্কুল-কলেজগুলোতে গৃহহীনদের দুইবেলা খাবারসহ অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করুন।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অনেক প্রবাসী শ্রমিক এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। যাদের ভেতরে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের কাজ নেই ফলে আয়ও বন্ধ। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করে আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা এই প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।