বগুড়ায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ২ আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বগুড়ার গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় খাদ্যবান্ধব চাল (১০ টাকা কেজির চাল) আত্মসাতের অভিযোগে দুই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম জানান, হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০০ বস্তা চাল ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে আত্মসাত করেছেন মহিষাবান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাদ্য বিভাগের ওএমএসএস ডিলার মো: ওয়াজেদ হোসেন। অনেক মৃতব্যক্তির নামেও মাস্টাররোল তৈরি করেছিলেন। এছাড়াও যাদের নামে মাস্টাররোল তৈরি করা হয়েছে তারা জানিয়েছে ডিলারের কাছে থেকে চাল উত্তোলন করেননি।
ডিলার ওয়াজেদ হোসেন জানান, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সঠিক মাস্টাররোল করে চাল বিতরণ করেছি।
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, দেরিতে চাল বের করার জন্য ডিলার ওয়াজেদ হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তার মাস্টাররোল সঠিক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই ডিলারের গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ডিলারের গুদাম সিলগালা থাকবে।
জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, সোমবার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮ টন চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে গাজিউল হক নামের এক ডিলারকে এক মাসের কারাদন্ড ও ডিলারশীপ বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই চালগুলো অন্য ডিলারের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিলার গাজিউল হক কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান।
গাজিউল হককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন মোবাইল কোর্ট। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।