কোয়ারেন্টিনে যেমন আছেন খালেদা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে ফিরেই নিজের বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকবেন তিনি। এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করলেও স্কাইপিতে ছেলে, দুই পূত্রবধু ও নাতনীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তার কাছে রয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। অনেক দিন পরে পরিবারের সান্নিধ্যে হাসি-খুশি সময় পার করছেন বেগম জিয়া। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে খুশি আছেন তিনি।কোয়ারেন্টিনে থাকায় পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট দূর থেকে তার সঙ্গে কথা বলছেন। ফলমূল ছাড়া বাইরের কোনো খাবার তিনি খাচ্ছেন না। তার খাবারও বাড়িতে রান্না হচ্ছে।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত শুক্র ও শনিবার বোনেরা নিজ বাসা থেকে তার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে এনেছিলেন। খালেদা জিয়ার কখন কি খাবেন তার খেয়াল রাখছেন, বোন সেলিমা ইসলাম। আর আগের মতো সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করছেন গৃহকর্মী ফাতেমা। আপাতত কয়েকটা দিন ডাক্তার ছাড়া বাইরের লোক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ নিষেধ থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন না তিনি। সিনিয়র নেতারা খোঁজ রাখছেন মুঠোফোনে। বাড়িতে আসার পর থেকে দলীয় কোন কথা তোলেননি। লন্ডনে অবস্থানরত ছেলের বৌ ডা. জোবাইদা রহমানের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় ডাক্তাররা তার দেখভাল করবেন। চিকিৎসার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে তার (ডা. জোবাইদা) পরামর্শে নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জোবায়দা রহমানের সঙ্গে কথা বলে, গত বুধবার রাতে নতুন প্রেসক্রিপশন করে চিকিৎসা শুরু করেছেন। তবে এই মুহূর্তে একেবারে নতুন কোনও চিকিৎসা তারা শুরু করতে চান না। কারণ, হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে দরকার হলে নতুন চিকিৎসা শুরু করা হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ম্যাডাম ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে কোয়ারেন্টিনে আছেন। উনার সঙ্গে যে গৃহকর্মী এবং নার্স আছেন তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে উনার সঙ্গে কথা বলছেন এবং খাবার দিচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলেও নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে উনার সঙ্গে কথা বলছেন। ম্যাডাম শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন।