ছুটির ১০দিন লকডাউনের দাবি তাবিথ আউয়ালের

0

‘করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার ১০ দিন সাধারণ ছুটি দিয়েছে। এটা সরকারকে আরেকটু পরিষ্কার করা দরকার ছিল। কারণ এটা ছুটি কাটানোর বিষয় নয়। এ মনোবভাব থেকে দ্রুত সরে আসতে হবে। আগামী ১০ দিন আমরা যে জায়গায় আছি সে জায়গায় অবস্থান করবো। আমরা নিশ্চিত করবো কাউকে সংক্রমিত করবো না, নিজেও হবো না। সুতরাং আগামী ১০ দিন আমরা সবকিছু বন্ধ (লকডাউন) করে রাখবো’

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ওই দাবি জানান।

তাবিথ আউয়াল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ওষুধের কথা শোনা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসকে কিউর করার জন্য। ব্যাপারটি সত্য নয়। টেস্ট পেজে বলা হচ্ছে যে, করোনা প্রতিরোধে ম্যালেরিয়ার ড্রাগগুলো ব্যবহার হতে পারে। তবে কেউ নিজ উদ্যোগে এসব ওষুধ নেবেন না। ওষুধ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। অনেকেই এই রোগে আগামীতে আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমরা চাচ্ছি এটাকে একটা দীর্ঘমেয়াদি অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। যাতে করে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ না পড়ে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ঠিক এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি অত্যন্ত আনন্দের। উনার মুক্তির কারণে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই মহামারি থেকে মুক্তি পেতে পারবো। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর আমি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের এমন পরিস্থিতিতে উনার এই ভাষণ থেকে বোঝা গেছে এতে একটু ঘাটতি রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি দেশে ১৩ হাজার টেস্ট কিট আছে আরও ৩০ হাজার টেস্ট কিট দেশে আনা হচ্ছে। তবে এই টেস্ট কিটগুলো কবে নাগাদ দেশে আসবে এসব যদি জানতাম তাহলে আরও কিছুটা স্বস্তিতে থাকতাম।

তাবিথ বলেন, আমাদের বলা হয়েছে রাজধানীর ১০টি হাসপাতালে এবং দেশের অন্যান্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকগুলো আইসোলেশন বেড ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো বলা হচ্ছে না ওই সব আইসোলেশন বেডগুলেতে আইসিইউর ব্যবস্থা আছে কিনা। আমরা শুনতে পেলাম রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরো জানতে চাই রপ্তানিমুখী শিল্প ছাড়াও দেশে যেসব শিল্প আছে তাদের ব্যাপারে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে গত দুই মাস ধরে যে, দু’টি দাবি আমি জানিয়ে আসছি যে, পানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। কিন্তু ঠিকই এসবের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন বলছে এই বিলগুলো জুনের আগে পরিশোধ করতে হবে না। আমি মনে করি আগে এসবের দাম কমিয়ে তারপর বিল চার্জ করা প্রয়োজন ছিল।

সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এই মহাবিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের বেসরকারিখাতকে আহ্বান জানানো উচিত। বিশেষ করে চিকিৎসা সেক্টরে সহযোগিতা করার জন্য। আর কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়টাও পরিষ্কার করা দরকার।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com