করোনা সচেতনতামূলক পোস্টারিংয়ের সময় ছাত্রলীগের হামলা, ছাত্রশিবিরের নিন্দা
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক পোস্টারিং করার সময় ছাত্রশিবির মনোহরগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। ঐ শিবির সভাপতির নাম মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন।
জানা যায়, জনগণকে করোনা বিষয়ে সচেতন করতে সচেতনতামূলক পোস্টারিং করার সময় নৃশংস হামলা চালিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেয় মরিচা গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী মমিন ও যুবলীগ নেতা মোঃ সাজু(স্থানীয় ইউপি মেম্বার)। তাদের সাথে ছিল শাহাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী মো. ইউসুফ ও মো. বেলাল।
এদিকে এই ঘটনায় তিব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় তারা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের বিকৃত পৈশাচিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বর রুপ দেখতে হচ্ছে জাতিকে।
ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের এই হিংস্র বর্বরতায় ছাত্রজনতা হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এই ঘৃণ্য অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
শিবির নেতারা বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে অজানা আশঙ্কায় দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে। দেশের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে করোনা পরিস্থিতি উত্তোরণে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও সাধ্যমত নানাবিধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এখন ছাত্রলীগের কর্মীরাও যেখানে দেশের স্বার্থে জনগনের সেবায় যেখানে তৎপর থাকা উচিত ছিল, সেখানে উল্টো এ অবস্থাতেও তারা অপকর্মের ঘৃন্য নজির স্থাপন করে চলেছে।
তারা বলেন, সম্প্রতি করোনা ভয়াবহতার মাঝেও পাবনার সুজানগরে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন খানের নেতৃত্বে এক গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। আজ বিনা কারণে কাপুরুষোচিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে শিবির নেতা মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেনকে। দেশের দু:সময়ে এমন অসভ্য বর্বরতার নজির স্থাপন করে ছাত্রলীগ তাদের জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসবাদের বিকৃত রুপকে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেছে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, দেশবাসী কোনভাবেই ছাত্রলীগের বর্বরতা দেখতে প্রস্তুত নয়। অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বেআইনি ও নৃশংস কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরতে হবে।