খালেদা জিয়ার মুক্তি : কী লেখা আছে কয়েদি রেজিস্টারে
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লক থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এর আগে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়ার নামে একাধিক প্রডাকশন ওয়ারেন্ট (পিউব্লিওডি) অর্থাৎ হাজিরা পরোয়ানা সংক্রান্ত কাগজ এবং কয়েদি রেজিস্টার বই সাথে নিয়ে যান। কারা কর্তৃপক্ষের রেকর্ড অনুযায়ী কয়েদি রেজিস্টারে বেলা ৩টা ২ মিনিটে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। কারাগারের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন ডেপুটি জেলার লাভলু মিয়া ও শিল্প আখতার।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মঙ্গলবার বুধবার ভোর পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াসহ মোট ১০ হাজার ৬৯ জন বন্দী অবস্থান করছিলেন। গতকাল খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ায় এ তালিকা থেকে তার নাম বাদ হয়। তবে আদালত থেকে প্রতিদিন নতুন যেসব বন্দী কারাগারে যাচ্ছে তাদের শাপলা ও বনফুল নামের দু’টি ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র পাঁচজন ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার আগে কারাগারের কয়েদি রেজিস্টার বইতে কারাকর্তৃপক্ষ স্বাক্ষর নিয়েছেন। আর ওই রেজিস্টারে মুক্তির সময় উল্লেখ করা হয়েছে বেলা ৩টা ২ মিনিট।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওই সূত্রটি জানিয়েছেন, ‘ডাক্তার ফার্মাসিস্ট স্বল্পতার কারণে বন্দীরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ এ ব্যাপারে গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি।