নভেম্বরে জেএফ-১৭ থান্ডারের চালান গ্রহণ করবে নাইজেরিয়া

0

নাইজেরিয়া চলতি বছরের নভেম্বরে পাকিস্তান-চীনের যৌথ তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার মাল্টিরোল জঙ্গিবিমানের চালান গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিমানবাহিনী (এনএএফ) প্রধান এয়ার মার্শাল সাদিক আবুবকর। সম্প্রতি নাইজেরিয়া বিমান বাহিনীতে ২,০৭৯ জন নতুন রিক্রুটের পাসিং আউট প্যারেডে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা জানান।

২০১৬ সাল থেকে নাইজেরিয়া এজএফ-১৭ কেনার জন্য তহবিল গঠন শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ১৫.৮৮ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা হয়। কাউন্টার এয়ার, কাউন্টার সারফেস, এয়ার অপারেশন ফর স্ট্রাটেজিক ইফেক্ট ও এয়ার সাপোর্ট অপারেশনের জন্য প্লাটফর্ম সংগ্রহের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে দেশটি আরো ৬৮.৭৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। ২০১৮ সালে আরো ৪৭ মিলিয়ন ডলার আলাদা করে রাখে জঙ্গি বিমান সংগ্রহের জন্য।

২০১৯ সালের মার্চে পাকিস্তানের ইকনমিক কোঅর্ডিনেশন কমিটি ঘোষণা করে যে নাইজেরিয়ার কাছে ১৮৪ মিলিয়ন ডলার চুক্তিতে তিনটি জেএফ-১৭ বিক্রি অনুমোদন করা হয়েছে।

নাইজেরিয়ার তহবিল সংগ্রহ শুরু ও পাকিস্তানের বিক্রি অনুমোদনের মধ্যে তিন বছর পার হয়ে যাওয়া থেকে বুঝা যায় যে জঙ্গিবিমানগুলো উৎপাদন শুরু করার আগে মূল্য পরিশোধের জন্য অপেক্ষা করছিলো পাকিস্তান।

ধারণা করা যায় যে এই চুক্তির পর পাকিস্তান থেকে আরো জঙ্গিবিমান কিনতে পারে নাইজেরিয়া। কারণ দেশটির এফ-৭এনআই ও এফটি-৭এনআই ফাইটারগুলো পুরনো হয়ে গেছে। জঙ্গিবিমান কেনার মতো অর্থ হাতে জমা হলেই নাইজেরিয়া নতুন করে অর্ডার দিতে পারে।

প্রাথমিকভাবে নাইজেরিয়া যে তিনটি বিমান পাচ্ছে সেগুলো হলো ব্লক-২ সংস্করণের। পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স ২০২১ সাল থেকে জেএফ-১৭বি ও জেএফ-১৭ ব্লক-৩ উৎপাদন শুরু করবে। আগামীতে এনএএফ কোন জেএফ-১৭ কিনলে এ দুটি সংস্করণের একটি হতে পারে।

বলা হচ্ছে যে, জেএফ-১৭ ব্লক-২ হাতে পেলে নাইজেরিয়া বিমান বাহিনীর সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। এতে বিয়ন্ড ভিজুয়াল এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ছাড়াও স্যাটেলাইট-গাইডেড ও লেজার গাইডেড বোমার মাধ্যমে নিখুঁত হামলা চালানো, সি-৮০২ এন্টি-শিপ মিসাইল, অন্যান্য স্যান্ড-অপ রেঞ্জ রেঞ্জ এক্সেটেনশন কি (আরইকে) সংযোজনের সুযোগ রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com