বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ এখনো সম্ভব হয়নি: মঈন খান

0

বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ এখনো সম্ভব হয়নি জানিয়ে দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মঈন খান বলেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ। যদি আমরা জ্বালানি সরবরাহ করতে না পারি, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কতই বা কার্যকর হবে? জ্বালানি শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, এটি সামাজিক প্রসঙ্গও। দেশের সমাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে শহর থেকে গ্রাম পর্যাপ্ত জ্বালানি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ এখনো সম্ভব হয়নি। বিশেষত, দেশের প্রাইমারি এনার্জির ৬৫ শতাংশই আমদানি নির্ভর। ফলে বিদেশি মুদ্রার ওপর চাপ পড়ছে। দেশে এলপিজি সরবরাহ বাড়ানো যেতে পারে এবং এটি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করা গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের কয়লা সম্পদ অত্যন্ত উচ্চমানের, যার সালফার কন্টেন্ট বিশ্বের সর্বনিম্ন। যদিও পরিবেশবাদীরা কয়লা ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন, নতুন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণকে যথাসম্ভব কমিয়ে দেশের এনার্জি চাহিদা মেটানো সম্ভব। দেশীয় গ্যাসের মজুত ধীরে ধীরে কমছে এবং বিশ্বের নানা দেশের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করা এখনই প্রয়োজন। প্রাকৃতিক গ্যাসের সীমিত মজুতের কারণে এলএনজি বা এলপিজির দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এলপিজির অংশ বর্তমানে মাত্র ২ শতাংশ হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি বাড়িয়ে দেশের এনার্জি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে জ্বালানি চাহিদা বাড়বে। আমরা জনগণের কাছে সহজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলপিজি পৌঁছে দিতে পারলে এটি দেশের উন্নয়নের জন্য একটি বড় সাপোর্ট হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.