জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

0

জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তার রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর আজিমপুরের সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায়। সেখানে জামায়াতের ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাজী এনায়েত উল্লাহর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।

আলোচনা সভায় পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় বক্তব্য রাখেন- লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) শাহ আলম। এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগের ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো দেশ বিক্রি করে দিয়েছে—এটা আপনারা সবাই জানেন, পত্রিকাতেও পড়েছেন। এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশের জন্য কাজ করার। আপনারা এলাকায় কাজ করবেন, কর্মীর সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা পুলিশ, আমাদের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশপ্রেমিক জনগণের সঙ্গে আমরা কাজ করবো। এখন আমাদের একটা সুযোগ আসছে ভোট বিপ্লবের। ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচিত করতে পারি, আমরা সেটা চাই।’

তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক মঞ্চে গিয়ে এমন বক্তব্য দিতে পারেন।

এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেন এমন বক্তব্য দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিএমপির প্রসিকিউশন অনুযায়ী একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বা বক্তব্য রাখতে পারেন না। ফলে পুলিশ কর্মকর্তার এই বক্তব্য প্রশাসনিক নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.