রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আ.লীগের লুটপাট নিচে পড়ে যাচ্ছে, আ.লীগ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন, চুরি, লুটপাট নিচে পড়ে যাচ্ছে। এতে এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। এসব কথা না তুলে ধরলে মানুষ ভুলে যাবে। এগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে বিদ্যুৎ খাতে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে মানুষের পকেট কেটে নিয়ে গেছে। মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। এগুলো এখন বৈদেশিক মুদ্রায় পেমেন্ট করতে হচ্ছে। যার ফলে, ২০২৭ সালের পরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। তার মূল কারণ হবে বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে রাজনৈতিক দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বজনপ্রীতি, নিয়মবূর্হিভূত করার কারণে বিশাল পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছেন কোনো হিসাব না দিয়ে এই খান থেকে দ্রুত টাকা বানানো যায়। কারণ বিদ্যুৎ তো হাওয়া, এটা তো দেখা যায় না। ক্যাপাসিটি চার্জ, এখন কোনো মেশিনের ক্যাপাসিটি চার্জ কত সেটা কে নির্ণয় করবে? সুতরাং এই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অনেক টাকা বের করে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ বলে উল্লেখ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ তো টেন্ডার ছাড়া কেনা হয়েছে। সুতরাং জনগণের তো জানা উচিত, তাদের টাকায় টেন্ডার ছাড়া কি ক্রয় করেছো।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।