শেখ হাসিনা জুলুম করে, ক্রসফায়ার দিয়ে, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন: রিজভী
শেখ হাসিনা জুলুম করে, ক্রসফায়ার দিয়ে, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ‘আফ্রিকান মাগুর মাছের মতো’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আফ্রিকান মাগুর মাছ পুকুরের মধ্যে যা পায় সব খেয়ে সাবাড় করে দেয়। ঠিক আওয়ামী লীগও ছিল আফ্রিকান মাগুর। তারা সবকিছু খেয়ে শেষ করে গোটা জাতিকে ধ্বংসস্তূপের মাঝে রেখে গেছে। তাদের এই অন্যায়, অবিচার, জুলুম, মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই করেছে। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, মহাবিপ্লবের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জের দুধলের সুন্দরকাঠী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত চব্বিশের গণ-আন্দোলনে বরিশাল বিভাগের শহীদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সহমর্মিতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ থেকে ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকে যে বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করেছে তার আবার মায়া-মমতা কীসের। তিনি ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল আরও বেশি লুট, আরও বেশি টাকা পাচার নিজের লোকদের দিয়ে করাতে। এটাই হচ্ছে তার রাজনৈতিক দর্শন, এটাই ছিল তার চিন্তাধারা। তার ওই ১৬ বছরের দুঃশাসনে বিদেশ থেকে ঋণ পেয়েছে প্রায় ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা আর তার সময়ে টাকা পাচার হয়েছে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তাহলে তার মধ্যে দেশপ্রেম ছিল না, দেশের মানুষকে কখনোই ভালোবাসতো না। তার স্বপ্ন ছিল একটাই বাংলাদেশেকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে যাওয়ার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছলে-বলে-কৌশলে জুলুম করে, ক্রসফায়ার দিয়ে, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। আর ওই ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নিশ্চিত করেছিল পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে তিনি এখন পালিয়ে আছেন, আশ্রয় পেয়েছেন। পৃথিবীর কোন দেশ, কোন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কেউ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেননি, শুধু পার্শ্ববর্তী দেশ তাকে সমর্থন করেছে।
‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল জেলা বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক, সাবেক সাংসদ আবুল হোসেন খান, বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক প্রমুখ।