কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ জামায়াত নেতাদের সঙ্গে

0

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জামায়াতে ইসলামী আমির।

তিনি বলেন, দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাশাপাশি আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো কীভাবে একটা চমৎকার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছি। বাংলাদেশ কীভাবে সামনে দেশের জনগণের উন্নতি নিরাপত্তা অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও কোরিয়া এক্ষেত্রে তাদের পার্টনারশিপ আরো কীভাবে উন্নত করতে পারে সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি।

জামায়াত আমির বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনের যারা আহত হয়ে চোখ হারিয়েছেন, মূল্যবান অঙ্গহানি হয়েছে, কোরিয়া তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কি সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন করে তারা ভেবেচিন্তে বেশ কিছু সহযোগিতা করতে পারবেন। এই মুহূর্তে আমাদের এই সহযোগিতাটা বড়ই প্রয়োজন। নইলে কিছু জীবন আজীবনের জন্য পঙ্গু বা বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।

আমরা আমাদের দেশের উন্নয়নে কোরিয়ার যে দক্ষতা সেটা কীভাবে আরো বেশি পেতে পারি তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। একই সঙ্গে কোরিয়াতে বসবাস করে বাংলাদেশিরা আরো কীভাবে বড় অবদান রাখতে পারে এবং এ দেশ থেকে দক্ষ কর্মী কোরিয়ায় যেতে পারেন সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সুস্থ হয়েছি তাদেরও কিছু কথা আমরা শুনেছি। সেই জায়গাগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি যে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত কনভিন্সড হয়েছেন। আমাদের সমাজ প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমাদের কাছ থেকে এটা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, সাড়ে পনেরো বছর ধরে আমাদের উপর তাণ্ডব চলেছে। আমরা অফিস খুলে বসে আছি মাত্র দুই মাস। তারা আমাদের দেখতে সে সম্মানিত করেছেন। আমরা আশা করি দুই দেশ আগামীতে পরস্পরের শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতার ভিত্তিতে আরো বেশি সামনে এগিয়ে যাবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা চূড়ার দিকে এগোবে।

পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাংবাদিকদের বলেন, কীভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। দেশের গার্মেন্টস শিল্প, ইলেকট্রনিক কনজ্যুমার, ইনফাস্ট্রাকাচার খাত, পিপিপি খাতে কোরিয়া সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিকখাতে কোরিয়া উন্নতি করছে। সেই দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই।

এসময় তিনি বাংলাদেশের কাঠামোগত উন্নয়ন ও শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান তুলে ধরেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা আছে তারা গুণগত সংস্কার ও পরিবর্তন আনতে পারবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন। শ্রমিকরা যাতে ন্যায্য সম্মান পায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে কোরিয়া, এই বিষয়ে পার্ক সিক আশ্বাস প্রদান করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com