সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবি
সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন সমন্বয়ক কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা সরকারি কলেজের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু আমাদের চাকরি বেসরকারি রয়ে গেছে।
তারা বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২১ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেই। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে তার প্রেস সচিবের মাধ্যমে মৌখিক আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে আমরা কর্মসূচি সমাপ্ত করি। পরে আমাদের বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবের কার্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ডিজিকে স্মারকলিপি দেই।
তারা আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমাদের বিষয়ে কোনও সরকারই এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে আমরা দাবি আদায়ে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
তাদের তিন দফা দাবি হলো– সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। (শূন্য পদের বিপরীতে এবং নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে স্ব স্ব কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে হবে, কর্মরতদের ছাড়া নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে; অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে এবং রাজস্ব খাতভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। এটাইতো স্বাধীনতা। এটাই গণতন্ত্র। এই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে চাই। কার্যকর করতে চাই। দাবি-দাওয়া না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। আমি আপনাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’