৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন
রাতের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করতে হবে। এ দাবি মানা না হলে আগামীকাল বুধবার আবারও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সায়েন্সল্যাব মোড়ে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, সরকার আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নিক। যদি সরকার দাবি না মানে তবে আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করা হবে।
এই শিক্ষার্থী বলেন, আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। যদি বৈঠক হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি আমাদের ডাকে তবে আমরা ৭ থেকে ১৪ জন প্রতিনিধি সেখানে যাবো। অপরদিকে অবরোধ থাকবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
এরপর গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবি হচ্ছে
৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোন সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।