এনজিও মার্কা সরকার নিয়ে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব না: নুর

0

অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে সুবিধাভোগীরা ঢুকে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পেশাজীবীদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদ এক বছর আগে ড. ইউনুসকে নিয়ে প্রোগ্রাম করেছিল। শিরোনাম ছিল- বিচারিক হয়রানি ও ড. ইউনুস। তখন অনেক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আমরা এ কাজটি করেছি।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমাকে ১৯ জুলাই আটক করে কী পরিমাণ নির্যাতন করেছিল, তা আমার সঙ্গে যারা ছিল তারাই জানে। আমি আদালতেও বলেছিলাম, এই ফ্যাসিবাদ ঠিকবে না। যার জন্য আমাকে আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

জাতীয় সরকার গঠনের প্রসঙ্গ তুলে নুর বলেন, এক বছর আগে আমরা বলেছিলাম ২ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের ভেতরে সুবিধাবাদীরা ঢুকে গেছে। এই এনজিও মার্কা সরকার নিয়ে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব না।

নিজে অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হতে চান না জানিয়ে গণঅধিকার সভাপতি বলেন, আমরা বলছি এই সরকারকে জাতীয় সরকারের রূপ দিতে। অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি হয়তো উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলছি। আমি এখানে ঘোষণা দিচ্ছি, আমি এই সরকারের পার্ট হবো না। তবে সরকার চাইলে আমরা প্রস্তাব দিতে পারি।

নুর এ সময় উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই সরকারে যারা আছেন, তাদের কয়জন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সরব ছিল? অথচ যারা রাজপথে ছিল তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় নাই।

ফ্যাসিবাদী সরকার পতনে আন্দোলন একদিনে হয়নি জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এর পটভূমি রচিত হয়েছে। ২০১৮ সালের আন্দোলন না হলে ২৪ সালে এই আন্দোলন হতো কিনা সন্দেহ। এই আন্দোলনের সামনের সারির অনেকেই আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিল। তাই বলে আমরা তো নিজেদের মাস্টার মাইন্ড দাবি করতে পারি না।

একই সঙ্গে, এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ না থাকলে আন্দোলন সফল হতো না বলেও উল্লেখ করেন নুর।

এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্যাতিত এ ছাত্রনেতা বলেন, এখন হুট করেই নির্বাচন দিলেই বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। কারণ, অনেকের অনেক ক্ষুধা রয়েছে।

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে নুরের বক্তব্য, স্যারের আন্তর্জাতিক যে যোগাযোগ রয়েছে, যেভাবে বিশ্ব নেতারা তাকে সম্মান করেন, এটা আমাদের গর্ব। আমরা ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রয়েছে। কিন্তু আশঙ্কা তার চারপাশের লোকদের নিয়ে।

তিনি সবাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, দেশের সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত ষড়যন্ত্র করছে। পাহাড়িদেরকে ভারত উসকানি দিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সামনে দুর্গাপূজা আসছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সনাতনধর্মের লোকেরা পূজা পালন করতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা হামলা করে বিশ্বকে দেখাতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com