সেই ওয়ার্নার বর্ষসেরা
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ডেভিড ওয়ার্নারকে মোটেও টলাতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে একের পর এক পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান।
সোমবার রাতে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ওয়ার্নারের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের জন্য অ্যালান বোর্ডার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের লড়াইয়ে এই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও প্যাট কামিন্স।
এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন ওয়ার্নার। ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও টানা দুই বছর বর্ষসেরা হয়েছিলেন তিনি।
বর্ষসেরার সঙ্গে বছরের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কারটিও ওয়ার্নারের হাতেই উঠেছে। আর বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ এবং সেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পদক পেয়েছেন তরুণ মার্নাস লাবু্শেইন। মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের বেলিন্ডা ক্লার্ক পদক জিতেছেন অ্যালিস পেরি।
২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে ২০২০ এর জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। এই সময়টাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ১৮১৫ রান করেছেন ওয়ার্নার। এরমধ্যে অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ৩৩৫ রান করেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
পুরস্কার পেয়ে বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ওয়ার্নার, “আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সময়টা অনেক কঠিন ছিল। কোথা থেকে শুরু করব বুঝে উঠতে পারছি না। কিন্তু যেমনটা আমি আগেই বলেছি, সুযোগ দেয়ার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ। আপনারা যা করেছেন, তাঁর জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।“
পুরস্কার গ্রহণ করার সময় নিষেধাজ্ঞার পর ফেলে আসা সময়টা মনে পড়ে যাচ্ছে এই ওপেনারের , “ফিরে আসাটা দারুণ ছিল। বিশ্বকাপে আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। আমি খুব ভালো খেলতে না পারলেও অ্যাশেজ জিতে নেয়াটাও দারুণ ছিল। তবে আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। যদিও ফিরে এসেই দারুণ একটি গ্রীষ্ম কাটিয়েছি। আশা করি, খেলার মাধ্যমে আপনাদের মুখে হাসি নিয়ে আসতে পেরেছি।”