ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, ৬১ আরোহীর সবাই নিহত
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। শুক্রবার ( ৯ আগস্ট) দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ব্রাজিলের ভোয়েপাস এয়ারলাইন জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বিমানটির সব আরোহী নিহত হয়েছে। এতে ৫৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্র ছিল।
ভোয়েপাস আরও জানায়, বিমানটি সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে ভিনহেদো শহরে বিধ্বস্ত হয়। এটির ফ্লাইট নম্বর ছিল পিএস-ভিপিবি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি লম্বা হয়ে নিচের দিকে নেমে আসছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরাসি-ইতালীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এটিআর বলেছে, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে তারা।
বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও মাটিতে থাকা কেউ হতাহত হয়নি। তবে এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বিশাল এলাকা আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশ উঠে গেছে। ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ অনুসারে, বিমানটি স্থানীয় সময় ১১ টা ৫৬ মিনিটে ক্যাসকেভেল ছেড়েছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমান থেকে শেষ সংকেত পাওয়া যায়।
ব্রাজিলের সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি বলেছে, বিমানটি ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটির বৈধ রেজিস্ট্রেশন এবং উড়ার সক্ষমতা বিষয়ক সার্টিফিকেট ছিল। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় বোর্ডে থাকা চারজন ক্রু সদস্যের সকলেই যথাযথভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং তাদের বৈধ যোগ্যতা ছিল।
ক্যাসকাভেলের ইউওপেকান ক্যান্সার হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের দুজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক রয়েছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। নিহতদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেছেন তিনি। ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টও দিয়েছেন ডি সিলভা।